প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর চীন সফরের কথা ঘোষণা করলেন। মোদি চীনা টুইটার ‘উইবো’তে তাঁর এ সফরের কথা বলার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর ত্রিদেশীয় সফরের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
১৪ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত মোদি চীন, মঙ্গোলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন। তিনি চীনের শিয়াং, বেইজিং ও সাংহাইয়ে যাবেন। দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে কথা বলবেন চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে। ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিলিত হবেন। মোদি উইবোতে তাঁর সফরের কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রচুর মন্তব্য আসতে শুরু করে এবং তার মধ্যেই উঠে গেছে অপ্রীতিকর সীমান্ত প্রসঙ্গ।
মোদি চীনে থাকবেন তিন দিন। সেখান থেকে তিনি যাবেন মঙ্গোলিয়া। এই প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মঙ্গোলিয়া যাবেন। ১৮ ও ১৯ তারিখে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেখানকার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইয়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পপতিদের সঙ্গেও মোদি বৈঠক করবেন। দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানো এই সফরের প্রধান লক্ষ্য।
মোদির সফরকে চীন স্বাগত জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গত রোববার বলেছেন, সীমান্ত আপাতত শান্ত। সীমান্ত নিয়ে আলোচনায় এখন ছোট ছোট সমঝোতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দুই দেশই একটা পাহাড়ে উঠছে। খুবই কঠিন কাজ। কারণ, চড়াই ভাঙতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যেসব চুক্তি হয়েছে, তার রূপায়ণে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চীন আগ্রহী।
তবে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ওয়াং এটি জানাতে ভোলেননি, চীন ও ভারতের সীমান্ত সমস্যা উত্তরাধিকার সূত্রে চলে আসছে। তাঁর কথায়, ‘আমরা এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাজ করছি এবং বেশ কিছুটা অগ্রসরও হওয়া গেছে।’
সীমান্ত বিষয়টি উঠে এসেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হু চুনিংয়ের কথাতেও। তিনি গতকাল বেইজিংয়ে বলেন, দক্ষিণ তিব্বতের যে বিস্তীর্ণ এলাকা চীন ও ভারতের পূর্ব সীমান্তে রয়েছে, তা যে বিতর্কিত, সে কথা অস্বীকার করা যাবে না।
চীন মনে করে, উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ আসলে তাদের তিব্বত অঞ্চলের অংশ।
সীমান্ত সমস্যাকে ধামাচাপা না দিয়েও অবশ্য চীন মনে করিয়ে দিয়েছে, হাতে হাত মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করবে দুই দেশ।