ভারতজুড়ে বিক্ষোভ
‘অগ্নিপথ’ থেকে পিছু হটবে না বিজেপি সরকার
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সশস্ত্র বাহিনীতে তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার দরকার আছে।
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মসংস্থান প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ অব্যাহত থাকবে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এ কথা জানিয়েছে। প্রকল্পটি নিয়ে ভারতজুড়ে সৃষ্ট অস্থিরতার মধ্যেও বিজেপি সরকার যে পিছু হটবে না তা জানানো হলো। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লে. জেনারেল অনিল পুরি বলেন, প্রতিবছর সেনা, নৌ ও বিমান—এই বাহিনী থেকে প্রায় ১৭ হাজার ৬০০ জন সময়ের আগেই অবসরে যাচ্ছেন। তাঁদের কেউ কখনো বলেননি, অবসরের পর তাঁরা কী করবেন।
মন্ত্রণায়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীতে তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার দরকার আছে। সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কারের জন্য অগ্নিপথের মতো প্রকল্পের দরকার আছে। এটা অনেক দিন থেকেই ভাবা হচ্ছিল। এ কারণে অগ্নিপথ প্রকল্প গুটিয়ে নেওয়া হবে না।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা (সংরক্ষণ) হবে। এই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
গত বুধবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সের নারী-পুরুষেরা চার বছরের জন্য সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীতে চাকরি পাবেন। তাঁদের মূলত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ সময় তাঁদের প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপি বেতন এবং চার বছর পর ১১ থেকে ১২ লাখ রুপি এককালীন অর্থ দেওয়া হবে। কিন্তু ২৫ শতাংশের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণের চাকরি স্থায়ী হবে না। এ বছরের বিভিন্ন সময়ের মধ্যে তিন বাহিনীতে এ নিয়োগ হবে।
এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, ঝাড়খন্ড, দিল্লিসহ ১০টি রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বয়সসীমা কম হওয়ায় ও চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থী শত শত তরুণ রাস্তায় নেমে আসেন। কয়েক জায়গায় ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। এদিকে বিজেপি সরকারবিরোধীরা এই প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব হন।