ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র যে ম্যুরালটিতে, তাতে সম্রাট অশোকের রাজত্বকাল বোঝানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রশ্নের জবাবে ভারত এমনটাই জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রফিকুল আলম বলেন, ‘ভারতের নতুন সংসদ ভবনে একটি ম্যুরাল স্থাপিত হয়েছে, যেখানে একটি মানচিত্র রয়েছে বলে আমরা অবহিত হয়েছি।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রাথমিক মন্তব্য করেছেন জানিয়ে রফিকুল আলম বলেন, ‘এর ধারাবাহিকতায় আমরা ভারতের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যা জানতে পেরেছি, সেটি হলো সম্রাট অশোকের রাজ্যের ব্যাপ্তি এবং সে সময় সম্রাট অশোকের নেতৃত্বে সংঘটিত জবাবদিহিমূলক এবং মানুষের উন্নয়নকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতীকী হিসেবে আলোচিত ম্যুরালটি স্থাপিত হয়েছে।’
মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘ওই ম্যুরাল স্থাপনের মূল ভাবনা ছিল ঐতিহাসিক প্রাচীন ভারত, বিশেষত সম্রাট অশোকের রাজত্বকে ফুটিয়ে তোলা। আমরা এই মর্মে অবহিত হয়েছি যে ম্যুরালটিতে সম্রাট অশোকের সাম্রাজ্যখচিত হয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমে “অখণ্ড ভারত” নামে প্রচার করা হয়েছে।’
এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা দিল্লিতে আমাদের মিশনকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সরকারি ব্যাখ্যাটা কী, সেটা জানতে বলেছি।’
গত ২৮ মে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি ম্যুরালটিকে ‘অখণ্ড ভারত’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। মূলত নতুন সংসদ ভবনে ম্যুরালের মাধ্যমে অখণ্ড ভারতের এক মানচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেই অখণ্ড ভারতের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার।
ভুল-বোঝাবুঝির অবকাশ নেই
প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, অখণ্ড ভারত মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক ও ভুল-বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টির ব্যাখ্যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আগেই দিয়েছেন। আমিও সে কথাই বলছি। প্রতিবেশীরা নিশ্চিতই সেই ব্যাখ্যা বুঝেছেন। তবে পাকিস্তান কী করবে, তা তাদের ব্যাপার।’