এক-দুই বছর নয়, ৪৮ বছর পর লাইব্রেরিতে ফেরত এসেছে দুটি বই। গত মাসে ডাকযোগে বইগুলো ফেরত পেয়েছে যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ারের একটি লাইব্রেরি। বইগুলো ফেরত দিতে এত দেরি হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন এক ব্যক্তি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হ্যাম্পশায়ারের বেসিংস্টোক ডিসকভারি সেন্টারে অবস্থিত লাইব্রেরিতে দুটি শিশুতোষ বই পাওয়া যাচ্ছিল না ১৯৭২ সাল থেকে। কর্তৃপক্ষ ধরেই নিয়েছিল, বই দুটি আর হয়তো ফেরত পাওয়া যাবে না। কেউ হয়তো ধারের কথা বলে বই দুটি মেরে দিয়েছেন। কিন্তু গত মাসের শেষের দিকে ডাকযোগে ওই বই দুটি ফেরত পেয়ে বিস্মিত হয় লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ।
ফেরত পাঠানো বই দুটির সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে ‘অ্যান্ডি’ নামের একজনের স্বাক্ষর রয়েছে। চিঠিতে লেখা, ‘১৯৭২ সালে বেসিংস্টোক থেকে চলে যাওয়ার কারণে বইটি আর ফেরত দিতে পারেননি তিনি। ওই সময় তিনি শিশু ছিলেন। এত দিন বই দুটি রেখে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
যে বই দুটি ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেগুলো ট্রিউন কোপলেস্টনের লার্নিং উইথ কালার আর্কিটেকচার: দ্য গ্রেট আর্ট অব বিল্ডিং ও রেভ ডব্লিউ অড্রির দ্য রেলওয়ে সিরিজ নাম্বার ২২: স্মল রেলওয়ে ইঞ্জিনস।
যুক্তরাজ্যে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা ফেরত না দিলে জরিমানা গুনতে হয়। ৪৮ বছর ধরে দুটি বই রেখে দেওয়ায় বড় অঙ্কের জরিমানার মুখোমুখি ওই ব্যক্তি। বর্তমানে যে হারে জরিমানা করা হয়, তা ধরলে আট হাজার পাউন্ড পরিশোধ করতে হবে তাঁকে।
তবে হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি কাউন্সিল এই বই ফেরতের ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তারা বলেছে, দীর্ঘদিন পর হলেও লোকটির শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। এই ঘটনা ইতিবাচক পদক্ষেপেরই একটি অংশ। তাই লোকটির কাছ থেকে কোনো বিলম্ব ফি নেওয়া হবে না।
হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি কাউন্সিলের বিনোদন ও ঐতিহ্যবিষয়ক নির্বাহী সদস্য শন উডওয়ার্ড বলেন, এত দিন পর বইটি ফেরত পেয়ে তাঁরা ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, ‘অ্যান্ডির বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানতে পারিনি। ফলে আমরা তাঁকে সরাসরি ধন্যবাদও দিতে পারিনি। তবে তাঁর এই কাজকে আমরা কতটা তারিফ করছি, তা তিনি অবগত হবেন।’