সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে ইউক্রেনীয়দের বের হওয়ার একটি পথ বাকি
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে সরে আসার জন্য আর মাত্র একটি পথ বাকি আছে ইউক্রেনীয়দের জন্য। সিভেরস্কি দোনেৎস নদীর ওপর নির্মিত আরেকটি সেতু ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ বাহিনী। এ নিয়ে এই শহরের সঙ্গে যুক্ত তিনটি সেতুর দুটিই ধ্বংস করে দেওয়া হলো। খবর বিবিসির।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সেভেরোদোনেৎস্কের ‘প্রতি মিটার ভূখণ্ডের’ জন্য ভয়াবহ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের অধিকাংশই দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এই হামলায় শহরটির বিভিন্ন অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। এই শহরে বিজয় অর্জন তাদের ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে নতুন গতি দেবে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘দখলদারদের মূল কৌশলগত লক্ষ্য পরিবর্তন হয়নি। তারা সেভেরোদোনেৎস্কে অবস্থান জোরদার করে যাচ্ছে। ভয়াবহ লড়াই চলছে, বলতে গেলে প্রতিটি মিটার ভূখণ্ডের জন্য।’
রোববার রাত্রিকালীন ভাষণে তিনি আরও দাবি করেন, দনবাসে রিজার্ভ সেনাদের বিপুলসংখ্যায় জড়ো করার চেষ্টা করছে রাশিয়া।
লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেছেন, গতকাল রোববারও সেভেরোদোনেৎস্কের রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল ইউক্রেনীয় ও রুশ বাহিনী।
রুশ বাহিনী শহরের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে শিল্পাঞ্চল ও আজত রাসায়নিক কারখানা এলাকায় এখনো নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সেখানে কয়েক শ বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন।
গাইদাই বলেন, ‘সেভেরোদোনেৎস্কের আজত রাসায়নিক কারখানার ভূগর্ভস্থ অংশে প্রায় ৫০০ বেসামরিক নাগরিক অবস্থান করছেন। তাদের ৪০ জন শিশু। কিছু সময় কয়েকজনকে সরিয়ে আনতে পারছে সেনারা।’
তিনি বলেন, সিভেরস্কি দোনেৎস নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু ধ্বংস করে দিয়েছে রুশরা। যমজ শহর হিসেবে পরিচিত লিসিচানস্কের সঙ্গে সেভেরোদোনেৎস্কে যুক্ত করেছিল এই সেতু। ফলে তিনটি সেতুর একটি এখন আর অক্ষত আছে।
লুহানস্কের গভর্নর বলেন, নতুন করে গোলাবর্ষণের ফলে যদি এই সেতুটিও ধসে যায়, তাহলে প্রকৃত অর্থেই শহরটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। গাড়িতে করে সেভেরোদোনেৎস্ক ছাড়ার আরও কোনো পথ অবশিষ্ট থাকবে না।
গাইদাই আরও বলেন, লিসিচানস্ক শহরেও গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। এতে ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে।