সাপ-কুমিরের সঙ্গে বাস যাঁর
ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের নঁতেতে আছে এক অদ্ভুত বাড়ি। লোয়া নদীর তীরের এই নিভৃত বাড়ির বাসিন্দাগুলোও অন্য রকম। এ বাড়ির কফির টেবিলে আয়েশ করে শুয়ে থাকে কোবরা সাপ। ৫০ কেজি ওজনের এক কচ্ছপ মনের আনন্দে বাগানে ঘুরে বেড়ায়। শুধু তা-ই নয়; শোবার ঘরে অ্যালিগেটর প্রজাতির সাত ফুট লম্বা এক কুমির বাড়ির মালিকের খাটে শুয়ে থাকে, অন্যটা ঘরময় ঘুরে বেড়ায়।
বেশির ভাগ মানুষ সরসৃপজাতীয় যেসব প্রাণী দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, তেমন ৪০০–এর বেশি প্রাণী নিয়ে বাস করেন ফিলিপ জিলেট। এক–দুই বছর ধরে নয়; দুই দশকের বেশি সময় ধরে সাপ-কুমিরের সঙ্গে বাস তাঁর। জিলেট জানালেন, আলি আর গেটর নামে তাঁর অ্যালিগেটর প্রজাতির দুটি কুমির আছে। এ দুটি তিনি একটি চামড়ার খামার থেকে উদ্ধার করেছিলেন। তাঁর এখানে থাকা বেশির ভাগ প্রাণী একসময় পোষা ছিল, পরে কোনো কারণে মালিক হয়তো বাইরে ফেলে গেছেন বা তাঁকে দান করে দিয়েছেন।
অ্যালিগেটরকে মুরগি খাওয়াতে খাওয়াতে জিলেট বলেন, ‘আমরা যেভাবে এসব প্রাণীকে দেখি, সেটা ঠিক নয়। আমরা এমন করি, কারণ আমরা তাদের বুঝতে পারি না। আমরা তাদের ঘৃণা করি। মনে করি, তারা ভয়ংকর। তবে আমরা যখন তাদের সম্পর্কে জানব; দেখব তারা ডাকলে কাছে আসে, খাবার নিয়ে যেতে বললে খায়।’
এমন ভয়ংকর সব প্রাণী নিয়ে বসবাসের কথা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানে কি না, জানতে চাইলে জিলেট বলেন, এসব প্রাণী রাখার অনুমতি তাঁর আছে। সরীসৃপ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তিনি প্রাণীগুলোকে নিয়ে মাঝে মাঝে রাস্তায় ঘুরতে বের হন। তবে তাঁর কর্মকাণ্ডে প্রতিবেশীরা ভীত নন। তাঁরা জানেন, বেশি বিষধর সাপগুলোকে এমন ঘরে রাখা হয়, যেখান থেকে বের হতে গেলে দুটি দরজা পার হতে হবে।
তবে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি এই বাড়ি বিষয়ে সতর্কতা জারি করা আছে। কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে এই বাড়িতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে।