শতাধিক জার্মান নেতার তথ্য হ্যাকড!
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ দেশটির শতাধিক রাজনীতিবিদ বড় ধরনের হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছেন । একই কাতারে আছেন দেশটির কয়েকজন তারকা ও সাংবাদিক। তবে হ্যাকিংয়ের পেছনে কারা জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি। সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের স্পর্শকাতর কোনো তথ্য হ্যাক হয়নি।
শুক্রবার জার্মানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরবিবি ইনফো রেডিওর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাক করা তথ্যগুলো অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছিল গত মাসে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বপ্রথম বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির ‘বিল্ড’ পত্রিকা জানিয়েছে, সব তথ্যই চুরি হয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবরের আগে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকিংয়ের তালিকায় এএফডিএ ছাড়া জার্মান পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিটি দলের সদস্যরাই আছেন। হ্যাকিংয়ের পর এসব ব্যক্তির বেশ কিছু তথ্য একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্যের তালিকায় আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চ্যাট, ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য এবং ব্যক্তিগত ছবি। তবে কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা এখনো বের করতে সক্ষম হয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ। যতটুকু জানা গেছে, অ্যাকাউন্টটি হামবুর্গ থেকে খোলা। এর ফলোয়ারের সংখ্যা ১৭ হাজার।
তবে ম্যার্কেলের স্পর্শকাতর কোনো তথ্য হ্যাক হয়নি বলে জানিয়েছেন জার্মান সরকারের মুখপাত্র মার্টিনা ফিতজ। তিনি বলেন, চ্যান্সেলর দপ্তর থেকে কোনো সংবেদনশীল কোনো তথ্য প্রকাশ পায়নি। ফিতজ হ্যাকিংয়ের শিকার রাজনীতিকদের প্রসঙ্গে বলেন, এই তালিকায় তাঁদের পার্লামেন্ট সদস্য, দেশটির হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তি ও প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সদস্যরা রয়েছেন।
জার্মানির বিচারমন্ত্রী ক্যাটরিনা বার্লে এ হ্যাকিংকে ‘মারাত্মক হামলা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এর পেছনে জড়িত ব্যক্তিরা আমাদের গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থা ক্ষুণ্ন করতে চাইছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই টুইটারে ম্যার্কেলের ই-মেইল অ্যাড্রেস ও কয়েকটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে গ্রিন পার্টির নেতা রবার্ট হেবেকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করা চ্যাট ও ক্রেডিট কার্ডের পরিপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির রাজনীতিবিদেরা এর আগেও হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন। ২০১৫ সালে জার্মান পার্লামেন্টের কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরি করতে কয়েক দফা সাইবার হামলা হয়—যার জন্য দেশটি রাশিয়াকে দায়ী করেছিল।