রুশ সেনাদের কাছ থেকে কিয়েভ পুনর্দখলের দাবি ইউক্রেনের
রাজধানী কিয়েভের আশপাশের এলাকাগুলো পুনরায় দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার সেনারা আক্রমণ শুরুর পর স্থানীয় সময় শনিবার প্রথমবারের মতো কিয়েভ ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করল দেশটি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্ব দিকে যুদ্ধের জন্য পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। তবে, কিয়েভের আশাপাশের এলাকায় ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে ধ্বংস হওয়া রাশিয়ান ট্যাংক পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা ওকেকসি আরেস্তোভিচ বলেছেন, চলতি সপ্তাহে ওই এলাকা থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহার করার পর থেকে ৩০টিরও বেশি শহর ও গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছেন তাদের সেনারা।
এসব এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারকে শান্তি আলোচনার অগ্রগতি হিসেবে দেখছে রাশিয়া। ইউক্রেন ও তার মিত্ররা বলছে, কিয়েভের কাছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর রাশিয়া তাদের মনোযোগ পূর্ব ইউক্রেনে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পুরো কিয়েভ অঞ্চল হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।’ তাঁর এ দাবির বিষয়ে রাশিয়ার কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
তবে, রুশ সেনারা সরে গেলেও উদ্বেগ কমছে না ইউক্রেনের। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ভিন্ন একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন রাশিয়ার সেনারা। তাঁরা দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের দিকে সরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সেনাদের লক্ষ্য ছিল তাঁদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার পরিসীমা বাড়ানো এবং এসব এলাকার মধ্যে একটি যোগাযোগের পথ তৈরি করা।