রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ইউক্রেনের ইরপিন ও বুচা শহরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলাকে ‘ভয়ংকর কর্মকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস। দেশটির বেসামরিক লোকজনের ওপর এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তে যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লিজ ট্রুস।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুজব ছড়িয়ে এসব নৃশংসতার সঙ্গে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতা ঢাকতে মস্কোকে কোনো সুযোগ দেবে না যুক্তরাজ্য। রাশিয়ার হামলার বাস্তবতা সামনে আনার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত মেলিন্ডা সিমন্স। তিনি বলেন, নারীদের তাঁদের সন্তানের সামনে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবারের সামনেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিশোরীরা। ধর্ষণ একটি যুদ্ধাপরাধ। যদিও ইউক্রেনে যুদ্ধকালীন ধর্ষণের প্রকৃত চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
রাশিয়ার হামলায় যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা সের্গেই নিকিফোরভ। বিবিসির সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, রাজধানী কিয়েভের আশপাশ থেকে রাশিয়ার সেনারা যখন পিছু হটছেন, এ সময় সেখানে তাঁরা যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ রেখে যেতে পারেন।
রুশ সামরিক বাহিনীর হামলার শিকার বুচা, হোস্তোমেল ও ইরপিন শহরের যেসব চিত্র সামনে আসছে, সেগুলো ‘হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো’ বলে উল্লেখ করেছেন জেলেনস্কির উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সেনারা গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন। লোকজনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাখা ছিল। বেসামরিক এমন অনেক লোকের মরদেহ পাওয়া গেছে, যাঁদের মাথার পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সের্গেই নিকিফোরভ বলেন, কেন এসব করা হচ্ছে, তা বুঝে ওঠা খুবই কঠিন। এটা একেবারেই নিষ্ঠুরতা। এসব করার কোনো সামরিক প্রয়োজনীতা নেই।