যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট-বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বে লিজ ট্রাস
যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট-বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন লিজ ট্রাস। তিনি দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট-বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্ট পদত্যাগ করায় লিজ ট্রাসকে বাড়তি এই দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর বিবিসির।
ডেভিড ফ্রস্টের পদত্যাগের খবর গতকাল রোববার প্রথম প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মেইল’। এতে বলা হয়, করোনা–সংক্রান্ত বরিসের কঠোর বিধিনিষেধের জেরে ফ্রস্ট পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া তাঁর পদত্যাগের পেছনে সরকারের কর বৃদ্ধি ও পরিবেশগত নীতির ব্যয় নিয়ে বড় ধরনের অসন্তোষের বিষয়টি কাজ করেছে।
বরিস জনসনের সরকারের দিকনির্দেশনার ব্যাপারে হতাশ হয়েই পদ ছাড়েন ডেভিড ফ্রস্ট। যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাওয়া বরিস জনসনের জন্য ডেভিড ফ্রস্টের পদত্যাগ একটা বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বরিসের ব্রেক্সিট কৌশলের একজন প্রধান কারিগর ফ্রস্ট। তাঁর পদত্যাগের ফলে ব্রেক্সিট-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ভবিষ্যৎসহ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনার গতিপথ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। একই সঙ্গে তাঁর পদত্যাগ বরিসের কনজারভেটিভ দলীয় সরকারের মধ্যে অস্বস্তির পরিবেশ যোগ করেছে।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় সময় রোববার লিজ ট্রাসকে ব্রেক্সিট-বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন বরিস জনসন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, লিজ ট্রাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকবেন। বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে তিনি ব্রেক্সিট-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চলমান আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন। এ ছাড়া নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে যুক্ত হবেন তিনি।
আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে বিদেশি সেনা ও মিত্রদের প্রত্যাহারের পর উদ্ভূত সংকট সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় রদবদল আনেন বরিস জনসন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ডমিনিক রাবকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় লিজ ট্রাসকে নিয়োগ দেন তিনি।
৪৬ বছর বয়সী লিজ ট্রাস গত দুই বছর বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। এর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে আসেন। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্রেক্সিট-পরবর্তী একাধিক বাণিজ্য চুক্তি করেছেন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা আছে।