মেগানের দুর্ব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন গোপনই থাকছে
ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের দুই কর্মচারীর আনা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ কীভাবে সমাধা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হবে না। বাকিংহাম প্যালেস সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি এ কথা জানিয়েছে।
কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের শিকার হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ২০২১ সালের মার্চে তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়টি পর্যালোচনা প্রতিবেদনে উঠে আসে। তবে নীতিগত কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার বিষয়টি প্রকাশ করা হচ্ছে না।
রাজপ্রাসাদ সূত্র জানিয়েছে, যারা তদন্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে, তাদের গোপনীয়তা রক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তবে ডাচেস অব সাসেক্স দৃঢ়ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রাজকীয় সূত্রটি জানায়, বাকিংহাম প্যালেসের ওই তদন্তের পর ‘নীতি ও কার্যবিধিতে’ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। বিষয়গুলো সব কর্মচারী ও রাজপরিবারের সব সদস্যকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এতে রাজকর্মচারীদের কাজের মান বাড়বে।
তবে কোন বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হবে না। তদন্তে কারা সহযোগিতা করেছেন, সে বিষয়ে জানানো হয়নি। মেগানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়টি সমাধা করতে পরামর্শের জন্য সাবেক ও বর্তমান কর্মচারীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
ফাঁস হওয়া এক ই–মেইলের বরাত দিয়ে দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দুর্ব্যবহারের মাধ্যমে রাজকীয় কর্মচারীদের দুজনকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর এ তদন্ত শুরু করে রাজপ্রাসাদ। এতে বাইরের একটি আইনি পরামর্শক দলকে কাজে লাগানো হয়েছিল।
দুর্ব্যবহারের বিষয়টি কীভাবে সামাল দেওয়া হয়েছে, সর্বশেষ এ ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ডাচেস অব সাসেক্সের প্রতিনিধিরা। তবে গত বছর যখন তদন্ত শুরু হয়েছিল, তখন এ উদ্যোগকে ‘তাঁর (মেগান) ব্যক্তিত্বের ওপর সর্বশেষ আঘাত’ অভিহিত করে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
প্রতিনিধিরা বলেন, বিশেষ করে যখন ডাচেস অব সাসেক্স নিজেই বিদ্বেষের শিকার, তখন এ ধরনের অভিযোগ অশোভন। যাঁরা এ ধরনের কষ্ট ও মানসিক আঘাতের মধ্য দিয়ে গেছেন, তাঁদের সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অপরাহ্ উইনফ্রেকে দেওয়া ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগানের একটি ‘বিতর্কিত’ সাক্ষাৎকার প্রচারের কয়েক দিন আগে বুলিংয়ের এ অভিযোগ উঠেছিল। ওই সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের অন্দরের নানা খবর, বর্ণবাদী অভিযোগের কথা বাইরে এনেছিলেন তাঁরা।
২০২০ সালের মার্চে হ্যারি-মেগান তাঁদের রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করে আলোচনায় আসেন। এখন তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।