মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ পোপ ফ্রান্সিসের
মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি গণতান্ত্রিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে মিয়ানমারের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পোপ এ কথা বলেন। রয়টার্সের খবরে জানা যায়, সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে দেওয়া বক্তব্যে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, তিনি ২০১৭ সালে মিয়ানমার সফর করেছেন। গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেশটির পরিস্থিতি তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন।
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এর প্রতিবাদে ও অং সান সু চির মুক্তি দাবিতে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে।
পোপ বলেন, ‘অত্যন্ত নাজুক এই পরিস্থিতিতে আমি মিয়ানমারের জনগণের প্রতি আমার একাত্মতা জানাই। আমি তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রার্থনা করি, যাঁরা দেশের দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন, তাঁরা সামাজিক কল্যাণ, ন্যায়বিচার ও জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় গণতান্ত্রিক সম্প্রীতি বজায় রাখবেন।’
১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। সামরিক বাহিনী দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ রাজনীতিক নেতাদের আটক-গ্রেপ্তার করেছে।
অত্যন্ত নাজুক এই পরিস্থিতিতে আমি মিয়ানমারের জনগণের প্রতি আমার একাত্মতা জানাই। আমি তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি।পোপ ফ্রান্সিস
সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশটির সেনাবাহিনী ফেসবুক ও টুইটারের পর ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটির মানুষ সেনাশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসেন।