বিস্ফোরণ-ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে কী করছে কিয়েভবাসী
বিস্ফোরণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দারা রয়েছে আতঙ্কে। প্রাণ বাঁচাতে তাদের অনেকেই পাতালরেলের স্টেশনে ছুটছে। হামলা থেকে বাঁচতে এই স্টেশনকে নিরাপদ মনে করছে কিয়েভবাসী। খবর বিবিসির।
বিবিসির পূর্ব ইউরোপের প্রতিনিধি সারাহ রেইনসফোর্ড ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের ক্রামাতোরস্ক শহর থেকে খবর সংগ্রহ করছেন। সারাহ রেইনসফোর্ড বলেন, সামনে কী হবে, তা ভেবে শহরটির বাসিন্দারা শোকাহত ও আতঙ্কিত। অনেকেই বাসে শহর ছেড়ে পালাচ্ছে। কিয়েভের পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিবিসির প্রতিবেদক সারাহ রেইনসফোর্ড আরও বলেন, শহরবাসী গতকাল রাতে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। তারা ইউক্রেনের পতাকা ওড়ায়।
বিবিসি, রয়টার্স, এএফপিসহ পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবর বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোর স্থানীয় সময় ভোর ৫টা বেজে ৫৫ মিনিটে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনে প্রথম শেল ছোড়া হয় এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।
কিয়েভে জরুরি পরিস্থিতির জন্য সাইরেন বাজানো হয়েছে। বিভিন্ন ছবিতে শহর ছেড়ে বের হওয়ার রাস্তাগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিয়েভের বাসিন্দারা তাদের ভয়ংকর পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছে। অনেকে বলেছে, বোমা হামলা থেকে বাঁচতে তারা বাড়ির বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে। টেলিভিশন ফুটেজে রাস্তায় অনেক মানুষকে জড়ো হয়ে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।
কিয়েভে নিযুক্ত গার্ডিয়ানের সংবাদকর্মী লিউক হার্ডিং টুইটে বলেছেন, কিয়েভের রাস্তায় যাদের দেখা যাচ্ছে, তারা শহরবাসীর একাংশ। বেশির ভাগ শহরবাসী হারিভনিয়া (ইউক্রেনের মুদ্রা) তোলার জন্য বুথের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
ইউক্রেন পুলিশ বলছে, রাশিয়ার বিমান হামলায় ইউক্রেনের সাত নাগরিক নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা পোডিলস্ক ও মারিয়াপোল এলাকায় এ বোমা হামলা হয়েছে। এসব এলাকায় নিখোঁজ অনেকে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেরহিই শাপটাললা দাবি করেছেন, দেশটির পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকার কাছে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার হামলার পরে ফোনালাপে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আজ জি–৭ ভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন। তবে হামলার আগে পুতিন বলেন, ইউক্রেন দখলের কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই। প্রাণহানি এড়াতে ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্র পরিত্যাগের আহ্বান জানান পুতিন।