২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বার্লিন দেয়াল আবার দাঁড়াল

থ্রিডি চশমা পরে বার্লিন প্রাচীর দেখছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: এএফপি
থ্রিডি চশমা পরে বার্লিন প্রাচীর দেখছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: এএফপি

জার্মানির ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীর পতনের পর পেরিয়ে গেছে ৩০টি বছর। জার্মানিকে বিভক্ত করে রাখা কংক্রিটের সেই শক্ত প্রাচীর ভেঙেছে অনেক দিন, তবে এখনো আবিষ্কৃত হয়নি টাইম ট্রাভেল মেশিন। তবু ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দেয়াল কৃত্রিমভাবে দর্শনার্থীদের দেখানোর ব্যবস্থা করেছে।

স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার সবচেয়ে বিখ্যাত সীমান্ত পয়েন্ট চার্লির কাছে থামে লোকবোঝাই একটি বাস। পূর্ব জার্মানির রক্ষীরা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে সিদ্ধান্ত নেন, যাত্রীদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা আদৌ উচিত হবে কি না। শ্বাসরুদ্ধকর কয়েক মুহূর্ত পরই বাসের যাত্রীরা ১৯৮০ সালের ধোঁয়াশা, ছায়াময় আর ষড়যন্ত্রে ঘেরা পূর্ব বার্লিনে প্রবেশ করে। থ্রিডি চশমায় এভাবেই দর্শনার্থীদের সামনে ফুটে ওঠে বার্লিনের চিত্র।

এভাবে দর্শনার্থীদের জন্য বার্লিন প্রাচীর দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে জার্মানির স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান টাইমরাইড বার্লিন।

টাইমরাইডের তরুণ প্রতিষ্ঠাতা জোনাস রোথ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল, আমরা যদি সময়কে ফিরিয়ে না আনতে পারি, তবু অন্তত সে সময়কার একটি সঠিক ধারণা তৈরি করার চেষ্টা তো করি। এটি কোনো সংগ্রহশালা নয়। আমরা জাদুঘর বানাতেও চাই না। আমরা কেবল দর্শনার্থীদের ইতিহাসের অংশ হয়ে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে চাই।’

১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর ইউরোপে স্নায়ুযুদ্ধকালের বিভাজনের অবসানের সূচনা করা বার্লিন প্রাচীরের পতন হয়। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর সে ঘটনার ৩০ বছর পূর্তির দিনটি সাড়ম্বরে পালন করতে আগস্ট মাসের শেষ দিকে টাইমরাইড বার্লিন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

রোথ বলছিলেন, বিশ্বাসযোগ্য, ইন্টার–অ্যাকটিভ আর থ্রিডির আদলে বার্লিন প্রাচীরকে ভার্চ্যুয়াল প্রযুক্তিতে দেখানো হচ্ছে। তিন দশকে নাটকীয় রূপান্তর ঘটা ঐতিহাসিক এক নগরের দৃশ্য দেখে দর্শকেরা পুলকিত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।