২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়সূচি তৈরি করবেন মে

থেরেসা মে। ছবি: এএফপি
থেরেসা মে। ছবি: এএফপি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) বিষয়ে আগামী জুনে পার্লামেন্টে ভোট দেবেন পার্লামেন্ট সদস্যরা (এমপি)। এরপর যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণে সম্মত হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। টরি এমপিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

টরি এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের তারিখ জানতে চাইলে মে এই প্রতিশ্রুতি দেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, আগামী জুনে ব্রেক্সিট ইস্যুতে যে ভোট হবে, এতে হেরে গেলে পদত্যাগ করবেন মে। এর আগে তিনবার ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে হেরে যান থেরেসা মে

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, থেরেসা মে সরে গেলে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতা করবেন তিনি। এর আগে ২০১৬ সালের জুনে গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থিতা থেকে নাটকীয়ভাবে নিজেকে সরিয়ে নেন বরিস জনসন। থেরেসা মে নতুন প্রধানমন্ত্রী হন, বরিস জনসনকে তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েনসবার্গ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট পরিকল্পনা এমপিরা যদি চতুর্থবারের মতো প্রত্যাখ্যান করেন, মের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ‘অবিশ্বাস্য’ হবে।

গত বছরের শেষে কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের প্রশ্নে আস্থা ভোটে টিকে যান থেরেসা মে। ওই ভোটাভুটিতে তাঁর পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট, আর বিপক্ষে ১১৭। আস্থা ভোটে থেরেসা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে, যার অর্থ ৬৩ শতাংশ কনজারভেটিভ এমপি ছিলেন তাঁর পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৭ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়নি মেকে।

এরপরও ব্যাপক চাপে ছিলেন মে। গত জানুয়ারিতে তাঁর সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। এতে বড় ধরনের ধাক্কা খায় তাঁর সরকার। ব্রেক্সিট চুক্তি পাসে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাৎক্ষণিকভাবে থেরেসা মের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সংসদের অন্যান্য বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটস, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, প্লাইড কামরি ও গ্রিন পার্টি এই অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন করে। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩২৫ জন আইনপ্রণেতা থেরেসা মের সরকারের পক্ষে ভোট দেন। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩০৬ জন। ফলে আস্থা ভোটে টিকে যায় থেরেসা মে সরকার।