পুতিনের সঙ্গে আলাপে আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান মাখোঁর

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ (বাঁয়ে)
ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আবারও কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। গতকাল মঙ্গলবার এ আলাপকালে আবার ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। এক বিবৃতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।

ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো কথা বললেন দুই নেতা। বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা কথা বলেন। এর আগে ১৮ মার্চ পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মাখোঁ।

আগের আলাপগুলোর মতো যুদ্ধবিরতি ও চলমান নিরাপত্তা উদ্বেগ নিয়ে কথা হয় বলে জানায় ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখন পর্যন্ত কোনো ঐকমত্য হয়নি, কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাখোঁ তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আস্থাশীল। যুদ্ধবিরতি এবং ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার আস্থাপূর্ণ শান্তি আলোচনা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই।’ মাখোঁ ইউক্রেনের পাশে আছেন বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

কাল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সম্মেলনকে সামনে রেখে পুতিন ছাড়াও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সঙ্গেও কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউরোপের জ্বালানির চাহিদা ও খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মাখোঁ।

ব্রাসেলসে ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবেন বাইডেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন তিনি।

এরপর আগামী শুক্রবার পোল্যান্ড সফর করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ওয়ারশতে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে দুদার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ইউক্রেনের যুদ্ধে মানবিক সহায়তা নিয়ে কথা বলবেন বাইডেন। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে ছেড়ে যাওয়া অর্ধেকের বেশি মানুষ সীমান্তবর্তী দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।

রুশ হামলার অন্যতম ইস্যু ছিল ইউক্রেনের ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়ার পদক্ষেপ। দেশটির ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়া নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। শুরুতে ন্যাটো জোটের সদস্য হওয়ার বিষয়ে অনড় মনোভাব দেখায় কিয়েভ। তবে হামলা শুরুর পর সুর নরম করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে আসছে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। তবে ইউক্রেনের আকাশসীমা ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা এবং যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করতে জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দেয়নি ন্যাটো। এতে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর ঝুঁকি দেখছে তারা। একই ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কোও।