২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কিয়েভের আশপাশ থেকে দ্রুত সরছেন রুশ সেনারা: ইউক্রেন

কিয়েভের পশ্চিমে দিমিত্রিভকা গ্রামে বিধ্বস্ত একটি রুশ ট্যাংকের কাছ থেকে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি
ছবি: এএফপি

রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তরাঞ্চল ও আরেক শহর চেরনিগিভ থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কিয়েভ। এদিকে ইউক্রেনের আরেক শহর মারিউপোল থেকে বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নিতে আবার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস (আইসিআরসি)। খবর এএফপি ও রয়টার্সের

রুশ সেনারা সরে গেলেও উদ্বেগ কমছে না ইউক্রেনের। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ভিন্ন একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন রাশিয়ার সেনারা। তাঁরা দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের দিকে সরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সেনাদের লক্ষ্য ছিল তাঁদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার পরিসীমা বাড়ানো এবং এসব এলাকার মধ্যে একটি যোগাযোগের পথ তৈরি করা।

এদিকে আইসিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মারিউপোল থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে আবার পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। এ জন্য তারা তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

আইসিআরসির প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর আগে দুই দফায় মারিউপোল থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পায়নি তারা।

মারিউপোল ছাড়াও অন্য শহর থেকেও জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আটকে পড়া ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে যে সাতটি করিডরের ব্যাপারে ইউক্রেন ও রাশিয়া সম্মত হয়েছে, সেই করিডরগুলোও শনিবার চালু হওয়ার কথা ছিল।

তবে এত কিছুর পরও মারিউপোলের প্রতি বেশ নজর থাকছে সব পক্ষের। এ শহরে টানা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুসারে, মারিউপোলে কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ-সংকটে রয়েছেন।

ইউক্রেন ও রাশিয়া—দুই পক্ষের জন্যই এ শহর গুরুত্বপূর্ণ। বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ যদি রাশিয়ার হাতে যায়, তবে ক্রিমিয়ার সঙ্গে লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের মধ্যে করিডর স্থাপন করা সম্ভব হবে। এ এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। আর এ এলাকাগুলো সংযুক্ত করা গেলে রাশিয়া থেকে পণ্য ও মানুষের যাতায়াত সহজ হবে।

আরও ৩০ কোটি ডলার সহায়তা

ইউক্রেনে অতিরিক্ত ৩০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে তারা এ সহায়তা দিচ্ছে।

এর আগেও ইউক্রেনকে কয়েক দফা সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাঁদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।