কপ-২৬ জীবনযাত্রায় কী প্রভাব ফেলবে
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আজ ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬)। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে। প্যারিস চুক্তিপরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলন আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
কপ-২৬ জীবনযাত্রায় কী প্রভাব ফেলবে
গ্লাসগো সম্মেলনের কিছু প্রতিশ্রুতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা পেট্রলচালিত গাড়ি ব্যবহার করতে পারব কি না, গ্যাস বয়লার দিয়ে ঘর গরম করতে পারব কি না, বারবার উড়োজাহাজে ভ্রমণ করতে পারব কি না—এসব বিষয় প্রভাবিত হতে পারে।
কপ-২৬-এর সাফল্য বোঝার উপায়
সম্মেলনের আয়োজক যুক্তরাজ্য। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কার্যত শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা যাতে সব দেশ সমর্থন করে, যুক্তরাজ্য তেমনটাই চাইবে। পাশাপাশি তারা চাইবে ২০৩০ সালের মধ্যে নিঃসরণ ব্যাপকভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি যাতে সব দেশ দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
কয়লা-পেট্রলচালিত গাড়ি বন্ধের পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন দেশ সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেবে—এমন প্রত্যাশাও যুক্তরাজ্যের।
উন্নয়নশীল দেশগুলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্থসহায়তা চাইবে।
এগুলোর একটিও যদি অর্জিত না হয়, তবে কপ-২৬ সম্মেলনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে। কারণ, তাপমাত্রাসংক্রান্ত লক্ষ্য (১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) টিকিয়ে রাখার জন্য হাতে খুব একটা সময় নেই।
তবে কিছু কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, বিশ্বনেতারা ইতিমধ্যে অনেক দেরি করে ফেলেছেন। কপ-২৬ সম্মেলনে তাঁরা যে বিষয়েই সম্মত হন না কেন, তাতে কোনো লাভ নেই। তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা অর্জিত হবে না।