কপ-২৬ কী
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আজ ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬)। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এই সম্মেলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। প্যারিস চুক্তিপরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলন আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
কপ-২৬ কী
মনুষ্য কারণে জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমন বৃদ্ধির ফলে পৃথিবী দিন দিন উষ্ণ হচ্ছে।
দাবদাহ, দাবানল ও বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া তীব্রতর হচ্ছে। গত দশক ছিল রেকর্ড উষ্ণ। বিশ্বের সরকারগুলো একমত যে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে যৌথ পদক্ষেপ দরকার।
কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বের ২০০টি দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হবে।
জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে এই দেশগুলো ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক্-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে না বাড়ে, সে ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল।
এটাই প্যারিস চুক্তি। এই চুক্তির মানে হলো ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কার্যত শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য দেশগুলো ব্যাপকভাবে নিঃসরণ কমাবে।
যেসব শব্দ বেশি শোনা যাবে
কপ-২৬: ‘কপ’ মানে ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ’। এটি জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ। ১৯৯৫ সালে কপের প্রথম সম্মেলন হয়। গ্লাসগোতে হচ্ছে কপের ২৬তম সম্মেলন। তাই একে বলা হচ্ছে ‘কপ-২৬’।
প্যারিস চুক্তি: ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলা ও গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে তখনই প্রথমবারের মতো বিশ্বের দেশগুলো একটি চুক্তিতে পৌঁছায়।
আইপিসিসি: ‘আইপিসিসি’ হলো জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তদেশীয় প্যানেল। এই প্যানেল জলবায়ু পরিবর্তন–সম্পর্কিত সবশেষ গবেষণা যাচাই করে।
১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস: প্রাক্-শিল্পায়ন যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাব এড়ানো যাবে বলে মত দেন বিজ্ঞানীরা।