যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করে রাশিয়া বলেছে, কৃষ্ণসাগরে ব্রিটিশ নৌবাহিনী উসকানিমূলক আচরণ করলে এরপর তাদের যুদ্ধজাহাজে বোমা নিক্ষেপ করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। রাশিয়ার ছিনিয়ে নেওয়া ক্রিমিয়া উপকূলে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ উসকানিমূলক আচরণ করেছে বলে রাশিয়ার অভিযোগ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ রাশিয়ার জলসীমায় ঢোকার ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় মস্কো। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ তাদের জলসীমায় ঢোকার পর গুলি চালিয়ে সেটিকে সতর্ক করা হয়েছিল। বিবিসির খবরে বলা হয়, রাশিয়ার ২০টি উড়োজাহাজ ও কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ব্রিটিশ ওই জাহাজের পিছু নিয়েছিল। ক্রিমিয়ার কাছাকাছি এ ঘটনা ঘটে।
ক্রেমলিন বলেছে, এটি তাদের জলসীমায় ঢুকে পড়ছিল। তবে যুক্তরাজ্য সরকার এ বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে জাহাজটি চলছিল। যুক্তরাজ্য ও বিশ্বের অনেক দেশ ওই জলসীমাকে ইউক্রেনের বলে দাবি করে থাকে।
যুক্তরাজ্যের অভিযোগ, ওই ঘটনায় প্রকৃত তথ্য দেয়নি রাশিয়া। তারা সতর্ক করতে গুলি ছোড়েনি বা রয়েল নেভির ডিফেন্ডারের যাত্রাপথে বোমা নিক্ষেপ করেনি।
এদিকে মস্কো রাশিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেবরাহ বর্নেটকে ডেকে তিরস্কার করে এবং কৃষ্ণসাগরে বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক করে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা যুক্তরাজ্যের প্রতিক্রিয়ায় মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাগুলোকে দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ বলেছেন, ‘আমরা সাধারণ বিবেচনার জন্য অনুরোধ করতে পারি, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান দেখানোর দাবি করতে পারি। কিন্তু তাতে কাজ না হলে আমরা বোমাবর্ষণ করতে পারি।’
রায়াবকভ সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে বোমাগুলো যুদ্ধজাহাজের পথে নয়, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে।