এবার বৈঠকে কিম-পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের বৈঠক আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভস্তকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন ক্রেমলিনের কর্মকর্তা ইউরি উশাকভ।
ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে দুই নেতা পরমাণু অস্ত্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এই ইস্যুর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়টিই এতে গুরুত্ব পাবে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের এ সফর এ বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইউরি উশাকভ বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞার কারণে গত বছর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৫৬ শতাংশ কমেছে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষায় আগ্রহী। এ অবস্থায় মস্কো মনে করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে কিম উন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর কোরিয়া-বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন বিগান রাশিয়ায় যান। মার্কিন প্রশাসন কিম জং-উনের সঙ্গে তৃতীয় আরেকটি বৈঠকে বসতে আগ্রহী। এ অবস্থায় কিম উন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসলে সম্ভাব্য তৃতীয় বৈঠক নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির কেন্দ্র ইয়ংবিয়নে নতুন করে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, এমন তথ্য স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে। স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, ঠিক সে সময়ই কিম-পুতিন সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়টি সামনে আসে। এ বৈঠকের প্রথম তথ্যটি আসে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে। ১৬ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম ইন-চুল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার দুই নেতার মধ্যে একটি বৈঠকের তোড়জোড় চলছে বলে সিউল জানতে পেরেছে।’
এখন পর্যন্ত পুতিনের সঙ্গে কিম উনের সাক্ষাৎ হয়নি। গত বছর সিঙ্গাপুরে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের কয়েক দিন আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কিম উন। সেই সময়েই পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসার সময়ই ধাপে ধাপে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় রাশিয়া। আর এটিই উভয় দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে বসার ক্ষেত্রটি তৈরি করেছে। আলোচিত এই বৈঠক চীনে হতে পারে বলে প্রথমে শোনা গেলেও পরে বন্দরনগরী ভ্লাদিভস্তকেও এটি হতে পারে বলে জানায় ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার ডটকম। অবশ্য ওয়েবসাইটটি বৈঠকের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ১৮ এপ্রিলের কথা শোনা গিয়েছিল। স্থান এক থাকলেও এখন বৈঠকটি ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে মস্কো।