রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল আমদানির নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তেলের সংকট দ্রুত মোকাবিলায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো দীর্ঘদিনের মিত্রদের দ্বারস্থ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ভেনেজুয়েলার মতো বৈরী সম্পর্ক থাকা দেশের সঙ্গেও চলছে তেল নিয়ে দর–কষাকষি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দৌড়ঝাঁপের ইতিবাচক ফল এখনো পাওয়া যায়নি। উল্টো যাদের অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতে এই নিষেধাজ্ঞা, সেই রাশিয়াকেই জ্বালানি তেল ইস্যুতে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ওপেকের অন্যতম উৎপাদক সৌদি আরব এবং ইউএই তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজেদের অতিরিক্ত উৎপাদনক্ষমতা ব্যবহার করার যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এই দুই দেশ বলছে, তারা ওপেক এবং জোটের অধীনে একটি চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার মধ্যে রাশিয়াও রয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার ইউএইর পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বলেন, জ্বালানি শক্তি এবং খাদ্যপণ্যের বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইউক্রেন সংকটে মধ্যস্থতার সব প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। ইউএই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের সুযোগ জোরদার করতে সবার সঙ্গে যুক্ত হতে প্রস্তুত।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউএই ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। ইউএই পশ্চিমা বিশ্ব এবং রাশিয়ার সঙ্গে সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। ইদানীং তারা রাশিয়ার সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।
শেখ আবদুল্লাহ বলেন, মস্কোতে আলোচনা চলাকালে তিনি ইরান, সিরিয়া ও ইরাকের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এদিকে রাশিয়াও তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। রাশিয়া মনে করত, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল।
উপসাগরীয় আরব দেশগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার জন্য তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইয়েমেন, ইরাক, লেবাননসহ ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে আঞ্চলিক উদ্বেগগুলো মোকাবিলায় বৈশ্বিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।