ইউক্রেনের নাগরিকেরা অস্ত্র কিনছেন, ব্যবসায় রমরমা
রুশ হামলার আগে থেকেই ইউক্রেনের নাগরিকেরা অস্ত্র ও গুলি কেনা শুরু করেছিলেন। গতকাল বুধবার অস্ত্রের দোকানগুলোর সামনে বড় ধরনের ভিড় লক্ষ করা গেছে। খবর গার্ডিয়ানের।
আজ বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলা ঘটনা ঘটল। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক শাসন জারি হয়েছে।
সম্ভাব্য হামলার আগেই ইউক্রেনের পার্লামেন্ট একটি খসড়া আইন অনুমোদন করে, যার মাধ্যমে নাগরিকদের অস্ত্র নিয়ে চলাফেরার সুযোগ দেওয়া হয়। এর আগে কোনো অস্ত্র নিয়ে বাড়ি ত্যাগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
ইউক্রেনের স্কুলগুলোতে ছেলেমেয়েদের অস্ত্র চালানো শেখানো হয়। দেশটির প্রায় চার লাখ মানুষের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করার সময় এ অভিজ্ঞতা হয় তাদের। তবে এবার রাশিয়ার হামলার আগে আগে নাগরিকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়। অস্ত্রের দোকানগুলো এআর-১০, এআর-১৫–এর মতো রাইফেলগুলোর চাহিদা বেড়ে যায়।
মধ্য কিয়েভের অস্ত্রের দোকানে অস্ত্র কিনতে এসে একজন নারী ক্রেতা দারিয়া অলেক্সান্দ্রিভানা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ে আমি সত্যিই শঙ্কিত। আমি ভালো কিছুর আশা করছি, কিন্তু সব পরিণতির জন্য প্রস্তুত আছি।’
অলেক্সান্দ্রিভানা বলেন, তিনি এবং তাঁর স্বামী ছয় মাস আগে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। এ সময় থেকেই মস্কোর সঙ্গে কিয়েভের সম্পর্ক নাজুক হতে শুরু করে। এই দম্পতির দুটো বন্দুক আছে। অলেক্সান্দ্রিভানা ৪০০ বুলেট কিনলেন। এই নারী বলেন, ‘আমি পুতিনের ভাষণ শুনেছি। তিনি এসব কিছু করতে পারেন। তিনি ইউক্রেনের মানুষকে ঘৃণা করেন।’
নাগরিকদের অস্ত্র এবং গুলি কেনার কথা জানে পুলিশ। ফেব্রুয়ারি মাসেই শুধু ১০ হাজার নতুন অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে এখন সব মিলিয়ে সাত লাখের বেশি মানুষের বৈধ অস্ত্র আছে।