ইউক্রেনে পুরোদমে হামলায় ৭০ শতাংশ প্রস্তুত রাশিয়া, দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের
ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। দেশটিতে কবে আক্রমণ হবে, আর রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে কী কী হবে, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। এ আলোচনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় সামরিক সক্ষমতার প্রায় ৭০ শতাংশই প্রস্তুত রেখেছে রাশিয়া। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে মার্চের শেষ নাগাদ আরও ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করবে দেশটি। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা তাঁদের বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। তাঁরা বলেছেন, গোয়েন্দা পর্যালোচনার ভিত্তিতে এসব তথ্য পেয়েছেন তাঁরা, তবে স্পর্শকাতর হওয়ায় এর বিস্তারিত উল্লেখ করা যাচ্ছে না।
ওই মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা করছেন কি না, সে ব্যাপারে তাঁরা অবগত নন। তবে তাঁরা মনে করেন, এখনো কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটলে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত খুব সহজে সামরিক সরঞ্জাম বিভিন্ন জায়গায় নেওয়ার সুযোগ পাবে রাশিয়া। কারণ, ওই সময়ে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে রাস্তাগুলো জমে শক্ত হয়ে যাবে।
ওই কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের কারণে ৫০ হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হতে পারে। তাঁরা আরও আভাস দিয়েছেন, হামলা হলে কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পতন ঘটবে। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে লাখো মানুষ। আর তাতে ইউরোপে শরণার্থী সংকট হবে।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করা নিয়ে উত্তেজনা হওয়ার প্রায় আট বছর পর সম্প্রতি নতুন এ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের দাবি, ইউক্রেনে হামলার উদ্দেশ্যে দেশটির সীমান্তের কাছে এক লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা তাদের নেই। মহড়া চালানোর জন্যই সেনা সমাবেশ করা হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা চলছে।
ইতিমধ্যে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো বাহিনীকে জোরদার করতে পোল্যান্ডে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রেশো শহরে প্রথম সেনা দলটি পৌঁছায়। কয়েক দিন আগে বাইডেন প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা পাঠাবে।