ইউক্রেনে কোন দেশ কী অস্ত্র পাঠাল
শুরুতে ইউক্রেন সীমান্তে সেনাসমাবেশ ঘটায় রাশিয়া। তখনই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার তৎপরতা শুরু করে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
অনেকেই ধারণা করেছিল, ইউক্রেনে রুশ বাহিনী সহজেই ‘কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য’ অর্জন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু বাস্তবতা তেমন হয়নি। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্রশস্ত্রের সহায়তায় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয় ইউক্রেনীয় বাহিনী।
প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এ সময়ে বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে অত্যাধুনিক রকেট–ব্যবস্থা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ইউক্রেনে এখন রুশ বাহিনীর মনোযোগ দেশটির পূর্বাঞ্চল—দনবাসে। দনবাসের প্রধান শহর সেভেরোদোনেৎস্কে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। অঞ্চলটিতে যুদ্ধের গতিপথ বদলাতে ইউক্রেনীয় সেনাদের সহায়তায় অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
পশ্চিমাদের সহযোগিতা ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কিয়েভ বলছে, তাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই। আরও অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।
গত রোববার ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত একটি ধাপে প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় একবার নয়, অব্যাহতভাবে কিয়েভের সামরিক সহায়তা দরকার।
রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনকে কোন দেশ, কী পরিমাণ ও কী কী অস্ত্র দিয়েছে, তার পূর্ণ হিসাব পাওয়া যায় না। কারণ, কোনো দেশ ঘোষণা সত্ত্বেও অস্ত্র পাঠায়নি। আবার কোনো দেশ ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি গোপন রেখেছে। ইউক্রেনে যেসব দেশের অস্ত্র পাঠানোর তথ্য জানা গেছে, তার তালিকা দেওয়া হলো।
যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে অস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, কিয়েভের অনুরোধে তারা ইউক্রেনে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট–ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এ অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনীয় সেনারা দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবেন। তবে এ অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা করতে পারবে না।
গত মাসে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেনের জন্য ৪ হাজার কোটি ডলারের একটি সহায়তা তহবিল অনুমোদন দেয়। এ তহবিলের মধ্যে ৭০ কোটি ডলারের অস্ত্রসহায়তা প্যাকেজ আছে। এ সহায়তা প্যাকেজের আওতায় ইউক্রেনে রকেট–ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে ৪৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত যেসব অস্ত্র পাঠিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ১৫৫ এমএম হাউইৎজার ৭২টি, ৭২টি সাঁজোয়া যান, ১ লাখ ৪৪ হাজার গোলাবারুদ, ১২০টির বেশি ফিনিক্স ড্রোন। শুধু ইউক্রেনের কথা ভেবেই সম্প্রতি এ ড্রোন তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনে সামরিক হেলিকপ্টার, সেনাবাহী সাঁজোয়া যান, বিমানবিধ্বংসী ১ হাজার ৪০০টি স্টিংগার অস্ত্রব্যবস্থা, ট্যাংক–বিধ্বংসী ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র, হাজারো বন্দুক–গোলাবারুদ ছাড়াও অনেক ধরনের অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
তুরস্ক
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তুরস্কের তৈরি বায়রাকতার টিবি ২ নামে সামরিক ড্রোন বিশেষ পরিচিত পেয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার সাঁজোয়া যান ও কামান ধ্বংসের লক্ষ্যে তুরস্কের এ ড্রোন ব্যবহারের কিছু ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
কিয়েভ বলেছে, গত এপ্রিলের মাঝামাঝি তুর্কি ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার রণতরি মস্কোভার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার হয়। পরে রণতরিটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে রণতরিটি ডুবে যায়।
যুদ্ধ শুরুর আগে ইউক্রেনের কাছে এ ড্রোন ছিল ২০টি। তবে গত মার্চে কিয়েভ জানায়, তুরস্কের তৈরি এ ড্রোন তারা আরও পাচ্ছে। তবে সংখ্যাটা তখন জানানো হয়নি।
যুক্তরাজ্য
ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য। গত সোমবার যুক্তরাজ্য জানায়, তারা ইউক্রেনে তিনটি দূরপাল্লার এম ২৭০ রকেট-ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে।
গত ২০ মে যুক্তরাজ্য সরকার জানায়, তারা ইউক্রেনে ৫৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের সামরিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইউক্রেনের জন্য এ সহায়তার মধ্যে রয়েছে ১২০টি সাঁজোয়া যান, ট্যাংক–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ৫ হাজার ৮০০টি, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ৫টি, ১ হাজার রকেট ও ৪ দশমিক ৫ টন বিস্ফোরক।
ইউক্রেনে ইলেকট্রনিক যুদ্ধসরঞ্জাম পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর মধ্যে রয়েছে কাউন্টার-ব্যাটারি রাডার সিস্টেম, জিপিএস জ্যামিং–সরঞ্জাম ও কয়েক হাজার নাইটভিশন যন্ত্র।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা ২২ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
কানাডা
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনে ২০ কোটি ৮০ ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে কানাডা। গত মে মাসের শেষ দিকে কানাডা সরকার জানায়, তারা ইউক্রেনে এম ৭৭৭ হাউইৎজারের সঙ্গে ২০ হাজার কামানের গোলা পাঠাচ্ছে। দনবাসে ইউক্রেনের যুদ্ধসক্ষমতা বাড়াতে এ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া ইউক্রেনে ড্রোন ক্যামেরা, বন্দুক, গোলাবারুদ, উচ্চমাত্রার উপগ্রহ চিত্রব্যবস্থা, রকেট লঞ্চার, কয়েক হাজার হ্যান্ডগ্রেনেড ও দুটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে কানাডা।
জার্মানি
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ গত সপ্তাহে বলেন, রাশিয়ার বিমান হামলা থেকে একটি বড় শহরকে বাঁচাতে ইউক্রেনে একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শলৎজ আরও বলেন, শত্রুপক্ষের কামানোর গোলা শনাক্তে সক্ষম—এমন ট্র্যাকিং রাডার ব্যবস্থা ইউক্রেনে মোতায়েন করা হবে। তবে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে জার্মানির বিরুদ্ধে।
যুদ্ধ শুরুর আগে জার্মানি বলেছিল, তারা ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাবে না। তবে যুদ্ধ শুরু হলে ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র পাঠানোর কথা জানায় জার্মানি। গত এপ্রিলের শেষ দিকে ওলাফ শলৎজের সরকার জানায়, শত্রুপক্ষের সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানোর মতো অস্ত্র তারা ইউক্রেনকে দেবে। পরে ইউক্রেনে হাউইৎজার ও ট্যাংক পাঠানোর ব্যাপারে সম্মত হয় জার্মানি।
স্পেন
গত এপ্রিলে ইউক্রেনে ২০০ টন সামরিক সরঞ্জাম পাঠায় স্পেন। এর মধ্যে রয়েছে ৩০টি ট্রাক, ভারী সরঞ্জাম বহনে সক্ষম বেশ কিছু ট্রাক ও সামরিক সরঞ্জামভর্তি ১০টি ছোট যান।
ফ্রান্স
এপ্রিলের মাঝামাঝি ফ্রান্স সরকার জানায়, তারা ইউক্রেনে ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।
এক সপ্তাহ পরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ইউক্রেনে আরও সাহায্য পাঠানোর ঘোষণা দেন। সহায়তার মধ্যে আছে ট্যাংক–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মিলান ও হাউইৎজার।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সিনেটে জানানো হয়, ফ্রান্স ছয়টি হাউইৎজার পাঠিয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে ইউক্রেনে বিমান–বিধ্বংসী মিসট্রাল ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর কথাও জানা যায়।
নরডিক দেশ
ফ্রান্সের তৈরি বিমান–বিধ্বংসী ১০০টি মিসট্রাল ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে পাঠিয়েছে নরওয়ে। এ ছাড়া এম ৭২ নামের ট্যাংক–বিধ্বংসী ৪ হাজার অস্ত্র পাঠিয়েছে তারা।
রাশিয়ার হামলার দিন কয়েক পর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সুইডেন ঘোষণা দেয়, তারা একবার ব্যবহারযোগ্য ট্যাংক–বিধ্বংসী ১০ হাজার লঞ্চার ইউক্রেনে পাঠাবে। একই সঙ্গে মাইন ধ্বংস করার সরঞ্জাম পাঠাবে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর নিরাপত্তাশঙ্কা থেকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন করেছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর ফেব্রুয়ারিতেই ফিনল্যান্ড ঘোষণা দেয়, তারা ইউক্রেনে ২৫ হাজার রাইফেল, দেড় লাখ গুলি ও একবার ব্যবহারযোগ্য ট্যাংক–বিধ্বংসী দেড় হাজার লঞ্চার পাঠাবে। যুদ্ধের এক মাসের মাথায় হেলসিংকি জানায়, ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে তারা। তবে কোন ধরনের কত অস্ত্র তারা পাঠাবে, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি দেশটি।
যুদ্ধ শুরুর তিন দিনের মাথায় ইউক্রেনে ট্যাংক–বিধ্বংসী ২ হাজার ৭০০ লঞ্চার পাঠানোর ঘোষণা দেয় ডেনমার্ক।
পরে কিয়েভ সফরকালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন বলেন, আরও ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের অস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া হবে। ওয়াশিংটন জানায়, ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা হারপুন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ডেনমার্ক।
ইউক্রেনের প্রতিবেশী
ইউক্রেনে ১৬০ কোটি ডলার সমমূল্যের অস্ত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছে পোল্যান্ড। এর মধ্যে ট্যাংক রয়েছে। তবে কতটি ট্যাংক তারা পাঠিয়েছে, তার হিসাব দেয়নি দেশটি। পোল্যান্ড ও মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ইউক্রেনে দুই শতাধিক ট্যাংক পাঠিয়েছে ওয়ারশ। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউক্রেনে দ্বিতীয় সর্বাধিক অস্ত্রসরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে পোল্যান্ড। কিয়েভে ট্যাংক–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার, ড্রোন ও গোলাবারুদ পাঠানোর কথা জানিয়েছে দেশটি।
ইউক্রেনে অস্ত্রসরঞ্জাম পাঠিয়েছে ইউক্রেনের আরেক প্রতিবেশী দেশ স্লোভাকিয়া। ইতিমধ্যে দেশটি ইউক্রেনে ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের অস্ত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া কিয়েভকে অন্তত আটটি হাউইৎজার কামান দিতে সম্মত হয়েছে দেশটি।
বাল্টিক রাষ্ট্র
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ইউক্রেনে ২১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে লাটভিয়া। এর মধ্যে গোলাবারুদ, বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্টিংগার ও লঞ্চ প্যাড, অজ্ঞাত যুদ্ধবিমান ও ড্রোন রয়েছে।
ইউক্রেনের জন্য লিথুয়ানিয়ার শত শত মানুষ তহবিল সংগ্রহ করেছে। এ তহবিল দিয়ে তুরস্কের তৈরি যুদ্ধড্রোন কিনে তা ইউক্রেনে সরবরাহ করা হবে।
আরেক বাল্টিক রাষ্ট্র এস্তোনিয়া ইউক্রেনে ২৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের অস্ত্রসহায়তা পাঠিয়েছে। ট্যাংক–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র জ্যাভলিন, হাউইৎজার, ট্যাংক–বিধ্বংসী মাইন, ট্যাংক–বিধ্বংসী বন্দুক, সাধারণ বন্দুক ও গোলাবারুদ ইউক্রেনে পাঠানোর কথা জানিয়েছে দেশটি।
মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে স্লোভেনিয়া ঘোষণা দেয়, তারা ইউক্রেনে কালাশনিকভ বন্দুক ও গুলি পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া সোভিয়েত আমলের অনেক ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর ব্যাপারে জার্মানির সঙ্গে আলোচনা করে দেশটি। এর পরিবর্তে জার্মান ট্যাংক ও সেনা বহনের জন্য গাড়ি দাবি করে দেশটি। তবে এখন পর্যন্ত দুই দেশের পক্ষ থেকে চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
বুলগেরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম পাঠায়নি। বুলগেরিয়ার রুশপন্থী সমাজতন্ত্রীদের বিরোধিতার কারণে দেশটি ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র পাঠাতে পারছে না।
ইউক্রেনে ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার সমমূল্যের সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। এ ছাড়া তারা আরও ৩ কোটি ডলারের সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে সামরিক হেলিকপ্টার ও রকেট–ব্যবস্থা পাঠিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। প্রাগ বলেছে, ইউক্রেনের ট্যাংক মেরামত করবে চেক প্রজাতন্ত্রের কোম্পানিগুলো।
বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, গ্রিস, ইতালি
বেলজিয়াম জানিয়েছে, ইউক্রেনে ৫ হাজার স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও ট্যাংক–বিধ্বংসী অস্ত্র পাঠিয়েছে তারা।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে নেদারল্যান্ডস জানায়, তারা ইউক্রেনে ২০০ স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত এপ্রিলে দেশটি জানায়, তারা ইউক্রেনে কিছু হাউইৎজার পাঠাবে।
জার্মানির সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেনে সোভিয়েত আমলের কিছু ট্যাংক পাঠাবে গ্রিস। এর পরিবর্তে গ্রিসকে জার্মানি তাদের অত্যাধুনিক যান দেবে। এ ছাড়া ৪০০টি কালাশনিকভ রাইফেল, রকেট লঞ্চার ও গোলাবারুদ ইউক্রেনে পাঠিয়েছে গ্রিস।
ইতালিও ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে। তবে এ নিয়ে দেশটি কিছু বলছে না।
আল-জাজিরা অবলম্বনে