ভূমধ্যসাগরে জাহাজডুবি, ৭৯ অভিবাসীর মৃত্যু
গ্রিক উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৯ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে শতাধিক অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটি লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছিল। সেটিতে কয়েক শ অভিবাসী ছিলেন বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি বিমান গত মঙ্গলবার গভীর রাতে দক্ষিণ গ্রিসের উপকূলীয় শহর পাইলোসের প্রায় ৫০ মাইল (৮০ কিমি) দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটিকে প্রথম দেখতে পায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই জাহাজটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে গ্রিসের কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে উদ্ধার তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হয়।
জাহাজটি লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীদের বেশির ভাগের বয়সই ২০–এর কোঠায়। তাঁরা সবাই পুরুষ। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জাহাজটিতে ৫০০ থেকে ৭০০ জন যাত্রী ছিলেন।
গ্রিসের কোস্টগার্ডের ক্যাপ্টেন নিকোলাস অ্যালেক্সিউ স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, তাঁর সহকর্মীরা জাহাজের ডেকে একদল লোক দেখেছেন। ভূমধ্যসাগরের গভীরতম অংশের একটিতে জাহাজটি ডুবে গেছে।
জাহাজে থাকা অভিবাসীদের পরিচয় জানা যায়নি। জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের গ্রিসের কালামাতা শহরের একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে শরণার্থী অভিবাসীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ গ্রিস। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, প্রায় ৭২ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী এ বছর ইউরোপের প্রথম সারির দেশ ইতালি, স্পেন, গ্রিস, মাল্টা ও সাইপ্রাসে এসেছেন।