রাশিয়ার ভেতরে সামরিক উড়োজাহাজ ধ্বংসের দাবি কিয়েভের

ইউক্রেনের হামলায় আগুন ধরে যায় রাশিয়ার একটি উড়োজাহাজেছবি : ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিডিও থেকে

রুশ সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজ ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের পক্ষ থেকে আজ সোমবার দাবি করা হয়, তাদের সেনারা রাশিয়ার ভেতরে একটি বিমানঘাঁটিতে থাকা সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজ ধ্বংস করেছেন। রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের হামলার এটি সর্বশেষ ঘটনা। এ ছাড়া রাশিয়ার ভেতরে কুরস্ক অঞ্চলে এখনো অবস্থান ধরে রেখেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে গত কয়েক মাসে রাশিয়ার ভেতরে হামলা জোরদার করা হয়েছে। তারা রুশ সেনাদের সামরিক সরঞ্জামব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করতে সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে হামলা করছে।

কিয়েভের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, তারা যে উড়োজাহাজটি ধ্বংস করেছে, সেটি টিইউ–১৩৪ মডেলের। ওরেনবার্গ অঞ্চলে সামরিক বিমানঘাঁটিতে ওই উড়োজাহাজটি রাখা ছিল। এটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দপ্তর দাবি করেছে, সোভিয়েত যুগের তৈরি উড়োজাহাজটি মূলত রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তরের নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পরিবহনে ব্যবহার করা হতো। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করা হয়, আক্রমণের পর উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। উড়োজাহাজটির ভেতর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। তবে কীভাবে এ আক্রমণ চালানো হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি কিয়েভ।

মস্কোর পক্ষ থেকে কিয়েভের এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর দেশটির সামরিক, রেলওয়ে এবং অন্যান্য অবকাঠামোতে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বেড়েছে। এ অভিযোগে শত শত লোককে আটক করেছে মস্কো।