কিয়েভ সরকারকে গুঁড়িয়ে দিতে আহ্বান মেদভেদেভের
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ কিয়েভের সরকারব্যবস্থাকে ‘পুরোপুরি গুঁড়িয়ে’ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশটির সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা কর্মকর্তাদের ধ্বংস করে দিতে বলেছেন।
রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মেদভেদেভ। গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে মেদভেদেভ এমন মন্তব্য করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইউরোপীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এই সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ এসব কথা বলেছেন।
মেদভেদেভের কথায় জেলেনস্কির এই সাক্ষাৎকারের সারমর্ম হচ্ছে, জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছ থেকে আরও অস্ত্র দাবি করেছেন। ক্রিমিয়ায় হামলাসহ সফল পাল্টা হামলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেলেনস্কির এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ কিয়েভ সরকারকেই গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। মেদভেদেভ আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই সহিংসতা কয়েক দশক ধরে চলতে পারে।
মেদভেদেভ আরও হুঁশিয়ারি দেন, সাক্ষাৎকারটি পরস্পরবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর মনে হলেও হালকা করে দেখা উচিত নয়। তিনি বলেন, কারও প্রলাপকেও খাটো করে দেখা উচিত নয়। এটি কিয়েভ শাসনামলের উন্মাদনার সময়। এ সময় কিয়েভ ‘নাৎসি অভিজাতদের’ সমন্বিত করতে, সেনাদের মনোবল বজায় রাখতে এবং পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সমর্থন পেতে চায়।
কিয়েভের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে রাশিয়াকে অবশ্যই পাল্টা হামলার সময় ইউক্রেনের সেনা ও সেনা সরঞ্জাম ধ্বংস করে দিতে হবে বলে মনে করেন মেদভেদেভ। তিনি চান, কিয়েভের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক পরাজয়। তিনি আরও বলেন, কিয়েভের ‘নাৎসি শাসনব্যবস্থা’ পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ইউক্রেনের সাবেক সব ভূখণ্ড জুড়ে বেসামরিকীকরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।
রাশিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, যারা পালিয়ে গিয়েছে, রাশিয়াকে তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। ‘নাৎসি শাসনের’ মূল হোতাদের অবস্থান বের করতে হবে এবং কোনো রকম সীমাবদ্ধতা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ পদক্ষেপ না নিতে পারলে ‘নাৎসি শাসনের’ মূল হোতারা শান্ত হবে না বলে মনে করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কিয়েভকে বারবার সতর্ক করেছেন। ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানে ক্রিমিয়া ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাশিয়ায় যোগ দেয়। সে সময় ক্রিমিয়াবাসী গণভোটের মাধ্যমে এ পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানান।
ক্রিমিয়া দখলের চেষ্টা প্রতিহত করতে গত মাসে মেদভেদেভ কিয়েভের বিরুদ্ধে পরমাণু সতর্কতা জারি করেছিলেন।