বাইডেন, কমলা, ট্রাম্পকে  যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরিকল্পনা দেবেন জেলেনস্কি

পেনসিলভানিয়ায় অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিছবি: এএফপি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্থানীয় সময় গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধ অবসানে কিয়েভের পরিকল্পনা জানাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন জেলেনস্কি। জেলেনস্কি এই পরিকল্পনার নাম দিয়েছেন ‘বিজয় পরিকল্পনা’।  

পুরো গ্রীষ্মে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তীব্র লড়াই চলেছে। মস্কো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে। আর কিয়েভ রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের অংশ দখলে রেখেছে। রাশিয়ার ভেতরে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে কিয়েভ পশ্চিমাদের চাপ দিয়েছে। তবে এতে কোনো সুফল আসেনি। এরপরই এ ধরনের পরিকল্পনার কথা জানালেন জেলেনস্কি।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাক্ষাতের সময় জেলেনস্কি এ নিয়ে বাইডেনের মনোভাব বদলের চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রোববার পেনসিলভানিয়ায় একটি কামান ও গোলা বানানোর কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এই কারখানায় যুদ্ধের জন্য জরুরি গোলার খোল বানানো হয়। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জেলেনস্কি এই কারখানার সব কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এরপরে জেলেনস্কি নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন সফরে যাবেন।

জেলেনস্কি বলেন, কীভাবে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ শেষ হবে, তা আগামী সপ্তাহগুলোতে বোঝা যাবে। যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেনের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

জেলেনস্কি বলেছেন, বাইডেনকেই তিনি প্রথম বিস্তারিত এই পরিকল্পনা দেখাবেন। বন্ধুদেশের নেতাদেরও এই পরিকল্পনা দেখানো হবে বলেন জেলেনস্কি।

হোয়াইট হাউস বলেছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করবেন জেলেনস্কি। আগামী বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন।

পরিকল্পনা নিয়ে কিয়েভ পুরো শরৎকাল আলোচনা করবে। আগামী নভেম্বর মাসের শুরুতে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রস্তুত হবে।

নভেম্বরে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন হতে পারে। আর এই সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনার কথাও বলেন জেলেনস্কি। তবে এ ধরনের কোনো সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে মস্কো। এ জন্য ইউক্রেনকে চারটি অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দিয়েছে মস্কো।

গতকাল রোববার সিএনএনকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমি মনে করি, দুই পক্ষই এখনো সামরিক জয়ের সম্ভাবনা দেখছে।’