ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধারা এখনো ইউক্রেনে: পেন্টাগন
ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন নির্বাসনে গেছেন বেলারুশে। এরপর ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধারা কী করবেন এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে নতুন তথ্য সামনে আনলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার। তিনি জানিয়েছেন, এখনো এই ভাড়াটে যোদ্ধারা ইউক্রেনে রয়েছেন।
রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে গত শনিবার বিদ্রোহ করে ভাগনার গ্রুপ। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোশিনের সঙ্গে ক্রেমলিনের চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুসারে তিনি বেলারুশে গেছেন। এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্যাট্রিক রাইডার আরও বলেন, ‘তারা (ভাগনার যোদ্ধা) হয়তো যুদ্ধে অংশ নেবেন কি নেবেন না, এই বিষয়ে আমি কোনো অনুমান করছি না।’
এদিকে রাশিয়ায় ভাগনারদের বিদ্রোহের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে জানিয়েছেন প্যাট্রিক রাইডার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে আমরা এমন কিছু দেখছি না যে, আমাদের বাহিনীকে নতুন কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে।
রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ভাগনার সদস্যরা। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহরে যুদ্ধে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তাঁরা। তবে অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতিসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রিগোশিন। সর্বশেষ শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ভাগনার যোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়েছে—এমন অভিযোগের পর বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি। এরপর রোস্তভ-অন-দন শহরের সামরিক সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভাগনার বাহিনী। এ ছাড়া মস্কো অভিমুখেও যাত্রা করেছিলেন ভাগনার যোদ্ধারা। তবে মাঝ পথে তাঁরা থেমে যান।