তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ। এখন চলছে ভোটগণনা। ভোটগণনা শুরুর পর প্রথম দিকে এগিয়ে ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ভোটগণনার একপর্যায়ে তাঁর ভোট ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তবে আবার পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। জয়ের জন্য ৫০ শতাংশ ভোট প্রয়োজন হয়। বর্তমানে এরদোয়ানের ভোট এর নিচে নেমে গেছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর হিসাবে, ৯০ দশমিক ৬ শতাংশ ব্যালট গণনা শেষ। এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট। এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তবে এর আগে এগিয়ে ছিলেন এরদোয়ান। দেশটির সংবাদমাধ্যম হুররিয়েত ডেইলি বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সোয়া একটায় জানায়, প্রায় ৮২ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। আর কিরিচদোগলু পেয়েছেন ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় দফা বা রানঅফ নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ২৮ মে হবে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। মাত্র ১০ শতাংশ ভোট গণনা বাকি থাকায় রানঅফ ভোটের সম্ভাবনা বাড়ছে।
আধুনিক তুরস্কের ১০০ বছরের ইতিহাসে এটি অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন। তুরস্কে গত ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আবারও দেশটির ক্ষমতায় আসছেন কি না তা এই ভোটের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে।
ন্যাটোর সদস্যদেশ তুরস্ক। সাড়ে আট কোটি মানুষের বসবাস দেশটিতে। এরদোয়ানের সরকার ক্রমবর্ধমানভাবে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ আছে। আর তুরস্কের অর্থনীতিও সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্রনীতি অপ্রত্যাশিত দিকে মোড় নিয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে দেশটি কীভাবে পরিচালিত হবে, তা–ও নির্ধারিত হবে এই ভোটে।