ক্রিমিয়ায় রুশ সাবমেরিন ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়ার সাবমেরিন রোস্তভ-অন-ডন। ২০২২ সালেছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের একটি বন্দরে নোঙরের সময় রাশিয়ার একটি সাবমেরিনে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।

সাবমেরিনটির নাম রোস্তভ-অন-ডন। কিলো-শ্রেণির আক্রমণকারী সাবমেরিনটি ২০১৪ সালে চালু করা হয়।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, গত শুক্রবার ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বন্দর শহর সেভাস্তোপোলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সাবমেরিনটি ডুবে যায়।

রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহর পরিচালিত এ সাবমেরিনটি ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম ছিল।

হামলা চালিয়ে সাবমেরিন ডুবিয়ে দেওয়া নিয়ে ইউক্রেনের দাবির বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।

কৃষ্ণসাগরীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নেয় রাশিয়া। কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ হামলায় উপদ্বীপটি রক্ষায় রাশিয়ার মোতায়েন করা চারটি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, সেভাস্তোপোল শিপইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণের সময় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রোস্তভ-অন-ডন সাবমেরিনটি সম্ভবত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, আগে চালানো হামলায় সাবমেরিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সেটি মেরামত করে রাশিয়া। তারা সম্প্রতি সেভাস্তোপোলের কাছে সাবমেরিনটির কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করছিল। সাবমেরিনটির মূল্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গতকাল শনিবার ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, রোস্তভ-অন-ডন ধ্বংসের বিষয়টি আবার প্রমাণ করে, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় জলসীমায় রুশ নৌবহরের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান নেই।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এই আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রুশ নৌবাহিনী বেশ কয়েকবার বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।

ইউক্রেন বলেছে, তারা হামলা চালিয়ে রাশিয়ার অন্তত ১৫টি যুদ্ধজাহাজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা ডুবিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের নেতৃত্বে থাকা যুদ্ধজাহাজ মস্কভা রয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের হামলায় যুদ্ধজাহাজটি ডুবে যায়।