জি-২০ সম্মেলনে যাচ্ছেন না পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না। আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পুতিনের অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে জাকার্তার রুশ দূতাবাস।
জি-২০ সম্মেলনে পুতিনের অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি এই প্রথম রাশিয়া নিশ্চিত করেছে। এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। এতে পুতিন অংশ নিলে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার পর প্রথমবারের মতো বাইডেন ও পুতিনকে একই কক্ষে দেখা যেত।
পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেছেন বাইডেন। রাশিয়ায় বন্দী মার্কিনদের মুক্তির বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে না থাকলে বালিতে গেলে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা আগেই নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জাকার্তায় রুশ দূতাবাসের চিফ প্রটোকল কর্মকর্তা ইউলিয়া তোমস্কায়া বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, জি-২০ সম্মেলনে (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সের্গেই লাভরভ রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিনের অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনো কাজ চলছে, তিনি ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করতে পারেন।’
১৫ ও ১৬ নভেম্বর বালিতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে পুতিনের অংশগ্রহণের বিষয়ে কয়েক মাস ধরে চলা অনিশ্চয়তার পর এই সিদ্ধান্ত এল।
রাশিয়ার জি-২০ পরিকল্পনার বিষয়ে জানাশোনা আছে, এমন আরেকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, পুতিনের স্থলাভিষিক্ত হবেন লাভরভ। ওই ব্যক্তি জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, ‘বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি’।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা সমালোচনা থেকে নিজেদের আড়ালে রাখতে চায় ক্রেমলিন। জুলাইয়ে জি-২০–এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে কর্মকর্তারা ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা জানাতে থাকলে প্রতিবাদে বৈঠকস্থল ছেড়ে যান লাভরভ।
ইউক্রেনে হামলা সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। এতে পশ্চিমা দেশগুলোতে নিন্দার ঝড় ওঠে। আগস্টে জোকো উইদোদো জানান, পুতিন সম্মেলনে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।