নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় ‘সেনাসমাবেশের’ ঘোষণা পুতিনের, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘সেনাসমাবেশের’ ঘোষণা দিয়েছেন। ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধকে ঘিরে আজ বুধবার তিনি এ ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম রাশিয়া এ ধরনের ‘সেনাসমাবেশ’ করতে যাচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
পশ্চিমাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা যদি ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল’ অব্যাহত রাখে, তাহলে মস্কো তার হাতে থাকা অস্ত্রের বিশাল মজুতের শক্তি দিয়েই জবাব দেবে।
জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘যদি আমাদের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে, আমাদের জনগণকে রক্ষায় সামর্থ্যে থাকা সব উপায় প্রয়োগ করব। এটা কোনো ধাপ্পাবাজি নয়।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, আংশিক ‘সেনাসমাবেশের’ অংশ হিসেবে তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে ডাকা হবে। অতীতের সামরিক অভিজ্ঞতা আছে—এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।
পুতিনের এই আংশিক ‘সেনাসমাবেশের’ ঘটনা ইউক্রেন সংঘাতকে লক্ষণীয়ভাবে বাড়িয়ে দেবে। এমন সময় এ ঘোষণা দেওয়া হলো, যখন ইউক্রেনের পাল্টা হামলা ঠেকাতে লড়ছে রুশ বাহিনী। হামলার মুখে রুশ বাহিনী পিছু হটতে এবং দখলকৃত কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
পুতিন বলেছেন, রাশিয়া এবং এর ভূখণ্ড রক্ষা করতে দেশটির ২০ লাখ শক্তিশালী রিজার্ভ সেনা থেকে এই আংশিক ‘সেনাসমাবেশ’ করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ইউক্রেনে শান্তি চায় না পশ্চিমারা।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গিলিয়ান কিগান স্কাই নিউজকে বলেন, পুতিনের ভাষণ উদ্বেগজনক উসকানি। তিনি যে হুমকি দিয়েছেন, তা অবশ্যই গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত।
গিলিয়ান কিগান আরও বলেন, ‘স্পষ্টতই এটি এমন কিছু, যা আমাদের খুবই গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত। কারণ, আপনি জানেন, আমরা নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি নিশ্চিত নই যে তিনিও নিয়ন্ত্রণে আছেন। এটি স্পষ্টতই একটি উসকানি।’