আইসিজেতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের মামলার বিচার চলবে

ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি সড়কে রুশপন্থী বাহিনীর ট্যাংকফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের করা একটি মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতটি গতকাল শুক্রবার জানিয়েছেন, ২০২২ সালে রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে করা ওই মামলার যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, এর বেশির ভাগেরই বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে আদালতের।

ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিধ্বস্ত ট্যাংক
ছবি: রয়টার্স

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। চলতি মাসে ওই অভিযানের দুই বছর পূরণ হতে যাচ্ছে। অভিযান শুরুর কয়েক দিন বাদেই আইসিজেতে মামলাটি করেছিল কিয়েভ। উদ্দেশ্য ছিল সামরিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ ছাড়াও আইনিভাবে মস্কোকে বাধার মুখে ফেলা।

আরও পড়ুন

অভিযান শুরুর সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অভিযোগ ছিল, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী লোকজন ‘নিপীড়ন ও গণহত্যার’ শিকার হচ্ছেন। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আইসিজেতে করা মামলায় ইউক্রেন বলেছে, যে ‘গণহত্যার’ অজুহাতে রাশিয়া অভিযান শুরু করেছে, তা ১৯৪৮ জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের বিরুদ্ধে যায়।

রুশ বাহিনীকে রুখতে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র
ফাইল ছবি: রয়টার্স

মামলার পর ২০২২ সালের মার্চে এক প্রাথমিক আদেশে ইউক্রেনে অবিলম্বে হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আইসিজে। তবে এ নির্দেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ক্রেমলিন জানিয়েছিল, এ মামলায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই আইসিজের।
মস্কোর ওই আপত্তি খারিজ করে শুক্রবার আইসিজে বলেছেন, রুশপন্থী লোকজনের ওপর কিয়েভ সরকারের ‘গণহত্যা’ চালানোর বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রমাণ নেই—ইউক্রেনের এমন দাবির বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে তাঁদের।

আরও পড়ুন

মামলায় ইউক্রেন আরও দাবি করেছে, তাদের দেশে রাশিয়ার অভিযানও গণহত্যা কনভেনশনের লঙ্ঘন। এ নিয়ে আইসিজে বলেছেন, মামলার এই অভিযোগের বিচার করা আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে নেই। এ ছাড়া কনভেনশন ‘লঙ্ঘন করে’ ইউক্রেনের লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও বিচারের অধিকার নেই তাঁদের।

আরও পড়ুন