আরও বেশি অস্ত্র না পেলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হামলা শুরু করা যাবে না: জেলেনস্কি

আরও বেশি করে ট্যাংক, গোলাবারুদ ও হিমার্স রকেট না পাওয়া পর্যন্ত সেনাদের সম্মুখযুদ্ধে পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পশ্চিমা মিত্ররা আরও বেশি করে সামরিক সহায়তা না পাঠালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর দেশ পাল্টা হামলা শুরু করতে পারবে না। আরও বেশি করে ট্যাংক, গোলাবারুদ ও হিমার্স রকেট না পাওয়া পর্যন্ত সেনাদের সম্মুখযুদ্ধে পাঠাবেন না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। জাপানের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এসব কথা বলেছেন।

জাপানি সংবাদমাধ্যম ইয়োমিউরি শিম্বুনকে সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনের পরিস্থিতি ‘ভালো নয়’। মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে গোলাবারুদের সরবরাহ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন বলেও উল্লেখ করেন এই নেতা।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানো সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এখনই শুরু করতে পারব না।

আরও পড়ুন

ট্যাংক, গোলাবারুদ ও দীর্ঘ পাল্লার রকেট ছাড়া আমরা আমাদের নির্ভীক সেনাদের সেখানে পাঠাতে পারি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করার পথ পেয়ে যাবেন। আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, অপেক্ষা করার সুযোগ নেই।’

রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেন পাল্টা অভিযান শুরু করবে বলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছে। ইউক্রেনের কমান্ডাররা ইঙ্গিত করেছেন, এ ধরনের অভিযান অনিবার্য। ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর কমান্ডার ওলেকসান্দর সিরস্কি সম্প্রতি বলেছেন, শিগগিরই এ অভিযান চালানো হতে পারে।

কয়েক বিশ্লেষক বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার সেনা সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পাল্টা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। তাঁরা চান, রুশ কমান্ডাররা তাঁদের বাহিনীগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে এক জায়গায় জড়ো করে না রেখে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে দিক।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এখন অনেক বেশি হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন প্রায়ই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে পশ্চিমা মিত্ররা দ্রুত অস্ত্র সরবরাহ না করলে এ যুদ্ধ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে। তবে এবারই প্রথম তিনি বলেছেন যে পশ্চিমা যুদ্ধ সরঞ্জামের অভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে দেরি হতে পারে।

আরও পড়ুন

মিত্রদেশগুলো ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি করে ট্যাংক, গোলাবারুদ ও দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে কিছু দেশ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অস্ত্র সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যরা ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানোর জন্য আরও বেশি সময় চাইছে।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছেন, সামরিক সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। তবে প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনার পেছনে সময় লাগছে বলে স্বীকার করেছেন তাঁরা।