ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন রাশিয়ার
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। একই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলীয় তিনটি এলাকায় ‘ব্যাপক হারে পুনরায় সেনা মোতায়েন করছে’ মস্কো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা এ কথা জানিয়েছেন। এসব এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
গতকাল বুধবার রুশ বাহিনী জানিয়েছে, তারা সোভিয়েত আমলের ভুলেহিরস্ক কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র অক্ষত অবস্থায় দখল করেছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময়ের মধ্যে এটি রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথা নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেকসি আরেস্টোভিচ। তবে এটাকে রাশিয়ার ‘সামান্য কৌশলগত অর্জন’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরেস্টোভিচ বলেন, দক্ষিণে রাশিয়ার পুনরায় সেনা মোতায়েন আক্রমণাত্মক থেকে কৌশলগত আত্মরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মেলিতোপোল, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলে পুনরায় সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহর পুনর্দখলে নিজেদের ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে ইউক্রেন। হামলার শুরুর দিকেই রুশ বাহিনীর হাতে শহরটির পতন হয়েছিল।
এর আগে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের সচিব ওলেকসি দানিলভ এর আগে এক টুইটারে বলেন, খেরসন অঞ্চলে ‘সর্বোচ্চসংখ্যক সেনা’ জড়ো করছে রাশিয়া। তবে এ নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণে ৬৬ শত্রু সেনাকে হত্যা, ৩টি ট্যাংক ও অস্ত্রের ২টি মজুত ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তারা আরও জানায়, মাইকোলাইভে মাল্টিপল রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনীয় বাহিনীও খেরসনের দিনিপ্রো নদীর ওপর নির্মিত সেতুর ওপর হামলা চালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, সেতুর পরিবর্তে সেনাদের নদী পারাপারে তাঁরা পন্টুন ব্রিজ ও ফেরি ব্যবহার করবেন।