লন্ডনের সড়কে রিকশা
তিন চাকার প্যাডেলচালিত বাহন রিকশা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এ বাহনের চল রয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে দিনের বেলা রিকশার দেখা তেমন পাওয়া যায় না। তবে সন্ধ্যার পর সেন্ট্রাল লন্ডনের অভিজাত এলাকা সহো, অক্সফোর্ড সার্কাস, পিকাডোলি সার্কাস, চেরিংক্রস, মেফেয়ার, পার্কলেন, হাইডপার্ক কর্নার ও নাইটব্রিজে আলোকসজ্জায় সজ্জিত রিকশার দেখা পাওয়া যায়।
লন্ডনের এসব রিকশা দেখতে বাংলাদেশের রিকশার মতো নয়। এগুলো তুলনায় কিছুটা নিচু, লম্বা ও চওড়ায়ও বড়। কাঠামো স্টিল দিয়ে তৈরি। এ রিকশায় অনায়াসে তিনজন যাত্রী বহন করা যায়। আসন বেশ নরম ও আরামদায়ক।
এসব রিকশায় প্যাডেলের সুবিধা থাকলেও এগুলো মূলত ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত। রয়েছে গান শোনার সুবিধা। যাত্রীরা নিজেদের পছন্দের গান ব্লু–টুথ সংযোগের মাধ্যমে মুঠোফোনে সংযুক্ত করে গান বাজিয়ে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেন লন্ডন শহর। তবে এ জন্য যাত্রীদের গুনতে হয় বাস–ট্যাক্সির তুলনায় কয়েক গুণ বেশি অর্থ। লন্ডনের রিকশাচালকেরা দূরত্বের হিসাবে নয়, প্রতি মিনিটে পাঁচ থেকে ছয় পাউন্ড ভাড়া নেন যাত্রীর কাছ থেকে। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের নূন্যতম পাঁচ মিনিট রিকশায় চড়তে হয়।
অ্যাডাম নামের ৪৫ বছর বয়সী এক রিকশাচালকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি পোল্যান্ড থেকে লন্ডনে এসেছেন। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন রিকশাচালনা। প্রতি সন্ধ্যায় তিনি রিকশা চালিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ পাউন্ড পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
অ্যাডাম বলেন, ব্যাটারিসহ একটি নতুন রিকশা কিনতে খরচ পড়ে ১০ হাজার পাউন্ডের কাছাকাছি। রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যাটারি চার্জ ছাড়া তেমন খরচ নেই। মোটরযানের মতো ইনস্যুরেন্সের বাধ্যবাধকতাও নেই। এ রিকশা চালাতে লাইসেন্সেরও প্রয়োজন হয় না। তবে তিনি শুনেছেন, আগামী বছর থেকে লন্ডন সিটি কর্তৃপক্ষ এসব তিন চাকার বাহনের জন্য লাইসেন্সের শর্তারোপ করতে পারে।
অ্যাডামের মতে, লন্ডনে বর্তমানে ২০০ থেকে ৩০০টি রিকশা রয়েছে।