তুরস্কে আজ রোববার প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। তুরস্কের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
আধুনিক তুরস্কের ১০০ বছরের ইতিহাসে এটি অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন। দেশটিতে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কি না, তা আজকের নির্বাচনে নির্ধারিত হবে।
বিভিন্ন জনমত জরিপ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু কিছুটা এগিয়ে আছেন। বিরোধী ছয়টি দলের জোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিলিচদারোগলু।
কোনো প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হন, তাহলে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে। সে ক্ষেত্রে ২৮ মে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে।
তুরস্কের নির্বাচনসংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, ভোটের দিন রাত ৯টা পর্যন্ত ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের সংবাদ প্রকাশ নিষিদ্ধ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে কি না, তার ইঙ্গিত আজ গভীর রাত নাগাদ পাওয়া যেতে পারে।
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের তিন মাস পর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর ধীর তৎপরতার জন্য সরকারকে দায়ী করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর অনেক বাসিন্দা। এ নিয়ে তাঁরা ক্ষোভও জানিয়েছিলেন। তবে এখন এ ইস্যু নির্বাচনের ফলাফলের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।
ন্যাটোর সদস্যদেশ তুরস্ক। সাড়ে ৮ কোটি মানুষের বসবাস দেশটিতে। এরদোয়ানের সরকার ক্রমবর্ধমানভাবে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে। তুরস্কের অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্রনীতি অপ্রত্যাশিত দিকে মোড় নিয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে দেশটি কীভাবে পরিচালিত হবে, তা–ও নির্ধারিত হবে আজকের ভোটে।
নির্বাচনে এরদোয়ানের রক্ষণশীল একে পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্সের সঙ্গে কিলিচদারোগলুর নেতৃত্বাধীন নেশন অ্যালায়েন্সের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
তুরস্কের মোট ভোটারের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দি। নির্বাচনে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।