লন্ডনে রানিকে শেষবিদায় জানাতে মানুষের ঢল
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের আশপাশে আজ বুধবার হাজারো মানুষের ভিড় ছিল। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন সেখান থেকে ওয়েস্টমিনিস্টার হলে নেওয়ার সময় হাজারো মানুষ সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রানিকে শেষশ্রদ্ধা জানায়। শোকযাত্রায় ছিলেন রানির নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস।
১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বুধবার থেকে চার দিন রানির কফিনটি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাখা হবে। সেখানেও সাধারণ মানুষ রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অপেক্ষায় ছিল। নিরাপত্তার বিবেচনায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা থেকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ সামরিক উড়োজাহাজে করে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে আনা হয়। লন্ডনের নর্থহল্ট বিমানঘাঁটিতে মরদেহ গ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। এ সময় রানির কফিনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে প্রিন্সেস অ্যান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রানির কফিনবাহী গাড়িবহর বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছায়।
বিমানঘাঁটি থেকে বাকিংহাম প্যালেস পর্যন্ত ১৪ মাইল পথের দুই পাশে হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। বাকিংহাম প্যালেসে রানির মরদেহ গ্রহণ করেন প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। বাকিংহাম প্যালেস লন্ডনে রানির সরকারি আবাসস্থল ও দপ্তর।
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ৫০০ জনের বেশি বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন সব দেশের নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজন ঘিরে যুক্তরাজ্যে অন্যতম বৃহৎ কূটনৈতিক জমায়েত হতে যাচ্ছে।