শান্তি আলোচনা নিয়ে ইউক্রেন পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে: লাভরভ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েন, ২৭ জুলাইছবি : রয়টার্স

শান্তি আলোচনা নিয়ে ইউক্রেন পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। আজ শনিবার লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন বলেন, তিনি এসব কথা কানে তুলতে চান না।

সম্প্রতি চীন সফর করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। কুলেবার চীন সফরের পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তখন বলেছিলেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ডের অখণ্ডতাকে সমর্থন করে ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ দিয়েছে বেইজিং।

এই অবস্থায় জেলেনস্কি ও কুলেবার মন্তব্য নিয়ে আজ ভিয়েনতিয়েনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের একটি পার্শ্ব বৈঠকে লাভরভকে প্রশ্ন করেন রুশ সাংবাদিকেরা। তখন জেলেনস্কি ও কুলেবার মন্তব্য সরাসরি খারিজ করে দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের টিএসএন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুলেবা তাঁর বেইজিং সফর নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনকে (শান্তি) আলোচনা করতে বাধ্য করা যাবে না। আর চীন ইউক্রেনের ভূখণ্ডের অখণ্ডতাকে সম্মান করে।’

কুলেবার এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে লাভরভ বলেন, ‘তাঁর এ ধরনের কথা বলা নতুন কিছু নয়। তিনি মাঝেমধ্যে সম্পূর্ণ উল্টো কথাও বলে থাকেন।’

আর জেলেনস্কি প্রসঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(শান্তি) আলোচনা নিয়ে তাঁরা সম্প্রতি কথা বলছেন। জেলেনস্কি অবশেষে আলোচনার জন্য রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত, তা বলতে শুরু করেছেন। সত্যি বলতে কি, আমি তাঁদের এসব কথায় কান দিচ্ছি না।’

অন্যদিকে লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে নিজের বৈঠক নিয়ে কথা বলেন লাভরভ। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে কুলেবার বেইজিং সফর নিয়ে কথা হয়েছে। এতে তাঁর মনে হয়েছে রাশিয়ার বিষয়ে চীনের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন

লাভরভ বলেন, যেকোনো ধরনের শান্তি আলোচনাই হোক না কেন, তা যেন ‘সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য’ হয়, সে বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছে বেইজিং।

গত জুন মাসে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেখানে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা অংশ নেয়নি। দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেন। এই সম্মেলনে রাশিয়ার অংশ নেওয়া উচিত বলে চলতি মাসে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি।