রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিনৎসেভকে রসদবিষয়ক উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রদবদলের অংশ হিসেবে তাঁকে উচ্চপর্যায়ের এ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে মিজিনৎসেভকে ‘মারিউপোলের কসাই’ নামে ডাকা হয়ে থাকে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়ার প্রতিনিধি আলেক্সান্ডার স্লাদকভ গত বৃহস্পতিবার এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, ৬০ বছর বয়সী মিজিনৎসেভকে রসদবিষয়ক উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিজিনৎসেভকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন স্লাদকভ।
আট মাসের কম সময় আগে জেনারেল দিমিত্রিকে সরিয়ে দিয়ে মিজিনৎসেভকে রসদবিষয়ক উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে স্থলাভিষিক্ত করেছিল ক্রেমলিন। দিমিত্রির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। মস্কোর সেনাদের যথাযথ অস্ত্র ও খাবার সরবরাহ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
টেলিগ্রাম পোস্টে মিজিনৎসেভকে ‘বুদ্ধিজীবী’ বলে উল্লেখ করেছেন স্লাদকভ।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকের মাসগুলোতে মারিউপোলে একটি প্রসূতি হাসপাতালে বিমান হামলাসহ বেশ কিছু নৃশংসতার ঘটনার জন্য মিজিনৎসেভকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
মারিউপোল থিয়েটারে বোমা হামলার নির্দেশ দেওয়ার জন্যও মিজিনৎসেভকে দায়ী করা হয়। ওই হামলায় অনেক শিশুসহ ৩০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
মার্চের শেষের দিকে মিজিনৎসেভের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে ব্রিটিশ সরকার তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর আগে সিরিয়ার আলেপ্পো অবরুদ্ধ করার জন্যও তাঁকে দায়ী করা হয়েছিল।
টেলিগ্রাম পোস্টে সাংবাদিক স্লাদকভ লিখেছেন, মিজিনৎসেভকে কেন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তবে তিনি মনে করেন, ঠিকমতো দায়িত্ব সামলাতে না পারার জন্য যে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এমনটা নয়।
পরে আরেকটি টেলিগ্রাম পোস্টে স্লাদকভ বলেছেন, রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের উপপ্রধান আলেক্সি কুজমেনকভকে মিজিনৎসেভের স্থলাভিষিক্ত করা হবে।