ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন এখনো রাশিয়ায়: লুকাশেঙ্কো
ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন এখনো রাশিয়ায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কা। আজ বৃহস্পতিবার এ কথা জানান তিনি।
গত মাসের শেষের দিকে রুশ সেনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন প্রিগোশিন। এরপর ক্রেমলিনের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী ভাগনারপ্রধানের বেলারুশ যাওয়ার কথা ছিল। একই সমঝোতার অধীনে ভাগনারের সেনাদেরও রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে যাওয়ার কথা।
তবে আজ বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে বিদেশি বিভিন্ন সাংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেন, প্রিগোশিন সেন্ট পিটার্সবার্গে আছেন... তিনি বেলারুশে নেই।
এ পর্যন্ত ভাগনারের যোদ্ধারাও বেলারুশে আসেননি উল্লেখ করে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেন, এখনো তাদের স্থানান্তর ও অবস্থানের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, ‘নির্দিষ্টসংখ্যক (ভাগনার গ্রুপের) যোদ্ধাদের এখানে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে আমি মোটেও ভীত বা শঙ্কিত নই। যদি এই গ্রুপটিকে সক্রিয় করার দরকার পড়ে, তবে আমরা শিগগিরই তা করব।’ ভাগনার যোদ্ধাদের অভিজ্ঞতার বিষয়টি খুবই সমাদৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২৩ জুন ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন রুশ সেনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং মস্কো অভিমুখে তাঁর বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তবে এক দিন না যেতেই বেলারুশের প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয় এবং ভাগনার গ্রুপের বেলারুশে যাওয়ার কথা স্থির হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশ নিয়েছে ভাগনার। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রিগোশিনের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতির অভিযোগ তুলে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন প্রিগোশিন। এ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এরই মধ্যে প্রিগোশিন অভিযোগ করেন, সেদিন ইউক্রেনের ভাগনার যোদ্ধাদের ওপর রকেট হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু। এতে ভাগনারের অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
একে ‘প্রতারণা’ আখ্যায়িত করে তিনি রুশ সামরিক নেতাদের উৎখাতের হুমকি দিয়েছিলেন।
এরপর প্রিগোশিন বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাঁর বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। রাশিয়ার কয়েকটি শহর ও সামরিক স্থাপনার দখলও নেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় সেই অভিযান বন্ধে রাজি হন তিনি।