রাশিয়া
ইউক্রেনের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথা স্বীকার
খারকিভের পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে রাশিয়া। এত দিন পূর্বাঞ্চলে আধিপত্য ছিল রুশ সেনাদের।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাদের ওপর তীব্র পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে খারকিভের পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় সেনাদের তীব্র আক্রমণের মুখে খারকিভের বেশ কিছু এলাকার দখল হারিয়েছেন রুশ সেনারা।
কিয়েভের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা চলতি মাসে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলের তিন হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি আয়তনের এলাকা দখলমুক্ত করেছে।
ইউক্রেনের জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি জায়গা ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। খারকিভের চারপাশে আমরা অগ্রগতি ধরে রেখেছি। কেবল দক্ষিণ বা পূর্বাঞ্চলে নয়, উত্তরাঞ্চলেও রুশ সেনাদের পিছু হটানো সম্ভব হয়েছে। আমরা সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে পড়েছি।’
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের মস্কো-সমর্থিত এক নেতা বলেন, পূর্ব দোনেৎস্কের কিছু এলাকায় রুশ সেনাদের কঠিন এক লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা বলেন, কিয়েভের সেনারা পূর্বাঞ্চলের লিসিচানস্ক শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে। এর আগে গত জুলাই মাসে তীব্র লড়াইয়ের পর লিসিচানস্ক দখল করেছিলেন রুশ সেনারা।
এদিকে গত শনিবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে সেনা সরানোর ঘোষণা ও কিয়েভের পক্ষ থেকে কুপিয়ানস্ক শহর দখলমুক্ত করার দাবি যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তব চিত্রের বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লড়াইয়ে আধিপত্য ধরে রেখেছিল মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা নিজেরাই ইজিয়ুম ও কুপিয়ানস্ক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দোনেৎস্কে লড়াইরত বাহিনীর শক্তি বাড়াতে বালাকলিয়া শহর থেকে সেখানে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথাও নিশ্চিত করেছে তারা। শুক্রবার বালাকলিয়া শহরে প্রবেশ করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
প্রায় ২৭ হাজার জনসংখ্যার শহর কুপিয়ানস্ক মুক্ত করার ছবি ইউক্রেনীয় বিশেষ বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করার পর রুশ সেনা সরিয়ে নেওয়ার খবর আসে। কিয়েভের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, খারকিভে ভাসিলেনকোভো ও আর্টেমিভকা নামের দুটি শহরও মুক্ত করা হয়েছে।
গত শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, শেষের দিনগুলোতে রুশ সেনারা পিছু হটছেন। দখলদার বাহিনীর জন্য ইউক্রেনে কোনো জায়গা নেই।