ভূমিকম্পের সময় তিনি বলেছিলেন ‘চল, একসঙ্গে মরি’
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা শহরের বাসিন্দা নিলুফার আসলান একটি পাঁচতলা বাড়িতে থাকেন। আজ ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সময় তিনি ধরেই নিয়েছিলেন আর বাঁচবেন না। আর তা ভেবে আশপাশের কক্ষে থাকা পরিবারের সবাইকে ডাকতে থাকেন তিনি। বলতে থাকেন, ‘ভূমিকম্প হচ্ছে। চল, অন্তত সবাই এক জায়গায় একসঙ্গে মরি।’
আসলান বলেন, ভূমিকম্পের সময় শুধু এ কথাটাই তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। জীবনে কখনো এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমে ছিল।
তুরস্কের আদানা শহরের বাসিন্দা আসলান বলেন, ভূমিকম্পের সময় এক মিনিট ধরে তাঁরা দুলেছেন। ভূমিকম্প থামার পর বাইরে বের হয়ে দেখতে পান, তাঁর বাড়ির আশপাশের চারটি ভবন ভেঙে পড়েছে।
তুরস্কের আরেক শহর গাজিয়ানটেপের বাসিন্দা এরদেম বলেন, ভূমিকম্পের সময় চার পাশ দুলছিল। দোলনায় দোলার মতো অনুভূতি হচ্ছিল। রয়টার্সকে ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদেম বলেন, ৪০ বছরের জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি।’
তিনি আরও বলেন, আতঙ্কে সবাই হয়তো তাঁদের গাড়িতে বসে আছেন, অথবা নিজ নিজ ভবন থেকে বাইরে খোলা জায়গায় চলে যান।
‘আমার মনে হয় গাজিয়ানটেপের একজন বাসিন্দাও এখন আর বাড়িতে নেই।’ বলেন এরদেম।