জিনগত পরিবর্তনে দ্রুত মাঙ্কিপক্স ছড়াচ্ছে কি না, জানতে গবেষণা
জিনগত পরিবর্তনের ফলে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে কি না, তা দেখতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে গত বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। মাঙ্কিপক্সের দুটি স্বতন্ত্র ক্লেড বা রূপ কঙ্গো ও পশ্চিম আফ্রিকা থেকে পাওয়া গেছে। তাই এগুলো কঙ্গো বাসিন (সেন্ট্রাল আফ্রিকান) ও ওয়েস্ট আফ্রিকান ক্লেড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মাঙ্কিপক্সের দুটি রূপের নামকরণ করা হয় ক্লেড ওয়ান ও ক্লেড টু নামে। ভাইরাসের নামকরণ নিয়ে কোনো অঞ্চলের বদনাম ঠেকাতে এই নামকরণ করা হয়। খবর এএফপির
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মাঙ্কিপক্সের ক্লেড টু–এর দুটি উপধরনের নামকরণ করা হয় টুএ ও টুবি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের পেছনে এ দুটি উপধরন দায়ী। গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ক্লেডস টুএ ও টুবি উপধরন দুটির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে এবং এগুলোর আদি জিনও এক।
ক্লেডস টুবিতে ১৯৭০ ও ২০১৭ সালের পরবর্তী সময়ের ভাইরাসের সঙ্গে জিনগত মিল রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ‘জিনগত বিশ্লেষণ করলে বর্তমান সংক্রমণের সঙ্গে আদি ক্লেডস টুবির পার্থক্য সামান্যই। তবে এই জেনেটিক পরিবর্তনগুলোর তাত্পর্য সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। সংক্রমণ এবং রোগের তীব্রতার ওপর এই জিনগত পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে জানতে গবেষণা চলছে।
মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার ওপরে মাঙ্কিপক্সের জিনগত পরিবর্তন কী ধরনের প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে অবশ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। আফ্রিকার দেশগুলোর বাইরে গত মে মাসের প্রথম থেকে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়। গড় ২৩ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৯২টি দেশে ৩৫ হাজার মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মারা গেছেন ১২ জন। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এরপর থেকে বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বর্তমান প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী ভাইরাসগুলোর মধ্যে বৈচিত্র্য ন্যূনতম।