এবার তেলবাহী রুশ ট্যাংকারে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
যুদ্ধজাহাজের পর এবার কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার একটি তেলবাহী ট্যাংকারে সামুদ্রিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের অদূরে কার্চ প্রণালিতে এই হামলা হয়েছে। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সূত্র হামলা নিয়ে এসব তথ্য জানালেও হামলার দায় স্বীকার করেনি কিয়েভ।
কিয়েভের একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রুশ সেনাদের জন্য জ্বালানি সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত একটি বড় তেলবাহী ট্যাংকারে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে। একটি সামুদ্রিক ড্রোন ও বিস্ফোরক দিয়ে এই হামলা করা হয়। হামলার পর ট্যাংকারটি থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন তাঁরা।
এদিকে মস্কোর পক্ষ থেকেও তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় সংস্থা ফেডারেল এজেন্সি ফর সি অ্যান্ড ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে কার্চ প্রণালির দক্ষিণে তেলবাহী ট্যাংকারে এ হামলা হয়।
রাশিয়ার এই অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থাটি জানিয়েছে, হামলার শিকার রুশ ট্যাংকারটির নাম এসআইজি। একটি সামুদ্রিক ড্রোন দিয়ে এ হামলা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্যাংকারে ১১ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। তাঁদের কেউ হতাহত হননি। তবে ট্যাংকারের ইঞ্জিনকক্ষে একটি গর্ত হয়েছে।
নিরাপদে ইউক্রেনের পণ্য রপ্তানিতে কিয়েভের সঙ্গে স্বাক্ষরিত কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি থেকে গত মাসে সরে আসে মস্কো। এরপর কৃষ্ণসাগর ঘিরে হামলা বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার অন্যতম বন্দর নোভোরোসিস্কর অদূরে একটি রুশ জাহাজে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন।
যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় ৪০ দেশ
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের খোঁজে সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় আলোচনায় বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ প্রায় ৪০টি দেশের নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুই দিনের এ বৈঠক শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের আহ্বানে আয়োজিত এ বৈঠকে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে ক্রেমলিন জানিয়েছে, জেদ্দার আলোচনায় ‘নজর থাকবে’ তাদের।