ইউক্রেনই দুগিনাকে হত্যা করেছে, বলছেন মার্কিন গোয়েন্দারা
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ আলেকসান্দর দুগিনের মেয়ে দারিয়া দুগিনাকে ইউক্রেন সরকারের একটি অংশ হত্যা করেছে বলে বিশ্বাস করে মার্কিন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেন সরকারের একাংশের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করা হয়েছিল।
গতকাল বুধবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তাঁরা বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে আগে জানত, তাহলে তারা অবশ্যই এর বিরোধীতা করত। কিয়েভকেও অপারেশন পরিচালনা না করার পরামর্শ দিত।
ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকেও বলেন, ‘দুগিনা হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশগ্রহণই ছিল না। না আমরা কোনো গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছি, না কোনো সহযোগিতা করেছি। এমনকি এ রকম একটি অপারেশন হচ্ছে, তা–ও আমরা আগে জানতাম না।’ জানলে এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা করত যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ কে দিয়েছিল, তা জানাননি ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেও এটি জানতেন কি না, তা–ও বলেননি তাঁরা।
গত ২০ আগস্ট রাতে মস্কোর কাছে গাড়িবোমায় নিহত হন ২৯ বছর বয়সী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার দারিয়া। ওই দিন সন্ধ্যায় আলেকসান্দর দুগিন ও তাঁর মেয়ে দারিয়া মস্কোর কাছের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দারিয়া তাঁর বাবার গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে তিনি নিহত হন।
রাশিয়ার তদন্তকারীরা বলছেন, চালকের দিকে গাড়িটির নিচে বিস্ফোরকযুক্ত যন্ত্র লাগানো ছিল। দূরনিয়ন্ত্রণে সেই যন্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। রাশিয়া সে সময় জানিয়েছিল, তারা এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে। হামলাকারীরা ইউক্রেনের নাগরিক। তবে রাশিয়াও কখনো এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেনি।
হামলাকারী ইউক্রেনীয়দের ছবি প্রকাশ করে রাশিয়া জানায়, তাঁরা হামলার পর সীমান্ত দিয়ে অন্য দেশে পালিয়ে গেছেন।