ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পরিণাম ভোগ করতে হবে: রাশিয়া
ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে রাশিয়া। গতকাল রোববারের এ হামলার পর আজ সোমবার ক্রেমলিন হুমকি দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে এর ‘পরিণাম ভোগ করতে হবে’। একই সঙ্গে মস্কোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
ক্রিমিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সেভাস্তোপলে গতকাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন। হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনই কম বয়সী। এ হামলাকে ‘বর্বর’ বর্ণনা করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াশিংটন রাশিয়ার শিশুদের হত্যা করছে।
দিমিত্রি পেসকভ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ফলে রাশিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। তাদের (ওয়াশিংটনকে) অবশ্যই এর পরিণাম ভোগ করতে হবে। কীভাবে এর জবাব দেওয়া হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিমিয়ায় প্রাণঘাতী হামলার জেরে আজ সোমবার মস্কোয় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিনে ট্রেসিকে তলব করা হয়। পরে এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, ক্রিমিয়ায় এই হামলার জন্য কিয়েভের পাশাপাশি ওয়াশিংটনও সমানভাবে দায়ী। অবশ্যই এর জবাব দেওয়া হবে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলে নেয় রাশিয়া। ক্রিমিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের সমুদ্রতীরবর্তী একটি এলাকা ও আবাসিক হোটেলে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
রাশিয়া জানিয়েছে, গতকাল রোববার ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপল বন্দরে অ্যাটাকমস নামের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ক্ষেপণাস্ত্রে গুচ্ছবোমাও ছিল। কিয়েভকে এই অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত মাসে আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলোর দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহের সমালোচনা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দেওয়া হয়, তাহলে পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা চালাতে অন্যান্য দেশকে অস্ত্র দেওয়ার অধিকার রাখে রাশিয়া।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রিই ইয়ারমাক বলেছেন, ক্রিমিয়া মানে ইউক্রেন। রাশিয়াকে অবশ্যই উপদ্বীপটি ছেড়ে যেতে হবে। সেখান থেকে তাদের সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে হবে।
জেলেনস্কির শীর্ষ এক উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, ক্রিমিয়ার সামরিক স্থাপনায় হামলা করার সম্পূর্ণ অধিকার রাখে ইউক্রেন।