রাশিয়া থামছে না, দীর্ঘ মেয়াদে ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে হবে: ন্যাটোপ্রধান
সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়ার দিক থেকে ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধের কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় ইউক্রেনকে দীর্ঘ মেয়াদে সহায়তা দেওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে বলে মনে করেন তিনি। গতকাল সোমবার বিবিসি রেডিও ফোরের ওয়ার্ল্ড অ্যাট ওয়ান অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।
স্টলটেনবার্গ বিবিসিকে বলেন, সামরিক সহায়তার মধ্য দিয়ে সার্বভৌম দেশ হিসেবে ইউক্রেনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে। এতে যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে রাশিয়া।
গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন যুদ্ধে যোগদানের জন্য রাশিয়া তাদের আপৎকালীন মজুত সেনাদের (রিজার্ভ সেনা) ডেকে পাঠায়। সে প্রসঙ্গ টেনে স্টলটেনবার্গ বলেন, আপৎকালীন মজুত সেনাদের ডেকে পাঠানোর মধ্য দিয়ে রাশিয়া বুঝিয়ে দিয়েছে এ মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধ করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী কয়েক মাস ধরে শক্তিমত্তা দেখিয়ে আসছে। তবে আমরা এটাও জানি যে রাশিয়া তাদের বাহিনীগুলোয় জনবল আরও বাড়িয়েছে। তাঁদের অনেকে এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। তাঁরা নতুন করে আক্রমণ শুরুর চেষ্টা করতে পারেন।’
এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নববর্ষ উপলক্ষে ভাষণে অভিযোগ করেন, তাঁর দেশকে ধ্বংস করে দিতে পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে। এর জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পুতিন তাঁর সেনাদের নেতৃত্ব দেওয়ার বদলে তাঁদের পেছনে লুকিয়ে থাকেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বলেছেন, গত শনিবার রাশিয়ার ছোড়া ২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১২টি ভূপাতিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, বর্ষবরণের আগের কয়েক ঘণ্টায় ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে কিয়েভজুড়ে আরও ৪৫টি হামলা হয়েছে। হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন।